পঞ্চগড় পৌর এলাকার বাসিন্ধাদের দৈনন্দিন আবর্জনায় খালটি ভরাট হয়ে গেছে। সেই বর্জ্যরে দুর্গন্ধযুক্ত পানি নেমে এসেছে সড়কে। এতে করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, পথচারি ও পরিবহন যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এটি পঞ্চগড় শহর থেকে দুই কিলেমিটার দূরে তালমা এলাকায়। কয়েকটি ইউনিয়নবাসী শহরে প্রবেশের একমাত্র সড়ক এটি। যদিও স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক বছর আগে, তবে এখন পর্যন্ত সেই প্রকল্পটি কোনো কাজে লাগাতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তালমা এলাকায় সড়কের পাশেই একটি খালে এসব আবর্জনায় ফেলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বৃষ্টি হলেই ময়লার পানি চুয়ে আসে সড়কে, খড়া হলেই বর্জ্য বাতাসে উড়ে যায় এদিক সেদিক। জেলা শহরে আসতে ৩-৪টি ইউনিয়নের সকলকেই ময়লার দুর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে দিনের পর দিন। শুধু তাই নয় পাশেই রয়েছে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এতে স্কুলে আসা শিক্ষার্থীরা অতি অতিষ্ঠ। স্থানীয়রা সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে।
পথচারী মতিয়ার রহমান জানান, দুর্গন্ধ যুক্ত পচা ময়লা আবর্জনা দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় নষ্ট হচ্ছে, এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ। পঁচা ময়লা আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধ বাতাসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আশপাশের এলাকায় বাড়ছে রোগ ব্যাধি।
সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী জান্নাতুন জানান, স্কুলে যাওয়া আসায় প্রতিদিন নাক মুখ চেপে ধরে বর্জ্যরে স্তূপ পার হতে হয়।
স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানান, শুধু ঘুমের সময় ছাড়া এই দুর্গন্ধ থেকে কোনোভাবেই মুক্তি মেলে না তাদের। ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য এ স্থান থেকে সরিয়ে ফেলা না হলে এলাকার মানুষরা বসবাস করা দায় হয়ে পড়বে।
পৌর মেয়র মোছা. জাকিয়া খাতুন জানান, মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য প্লান নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন পেলেই আমরা বর্জ্য ফেলার কাজ শুরু করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন