জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীতে হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে কৃষকের কয়েক শত একর রোপা আমন।
গত শনিবার বিকেলে হঠাৎ করে উপজেলার হাতিভাঙ্গা, বাহাদুরাবাদ, চিকাজানি, চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন পুকুর, খাল, বিলে নদীর পানি প্রবেশ করে। তলিয়ে যায় কয়েক শত একর চাষ করার রোপা আমনের ফসলি জমি।
চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের গুজিমারি গ্রামের কৃষক জুয়েল মিয়া বলেন, আমার দুই প্লট করা এক বিঘা জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এছাড়াও আমাদের এখানে প্রায় ২০ একর রোপা আমন তলিয়ে গেছে। আমরা কৃষকরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি আর যাতে পানি না বাড়ে। পানি বাড়লে ফসল সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে যাবে।
দেওয়ানগঞ্জ পানি বিজ্ঞান শাখার কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার আপে পানি বেড়েছে। তাই গত শনিবার বাহাদুরাবাদ ওয়াটার পয়েন্টে পানি বৃদ্ধির মাত্রা ১৮.২০ সে.মি. ছিলো গতকাল রোববার ০.৫ সে.মি. বেড়ে বর্তমানে ১৮.২৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। আরো জানান, আজ সোমবার পানি বাড়তে পারে, এরপর পানি কমতে শুরু করবে। বন্যার পানি এখনো বিপদসীমার নিচে। বিপদসীমা অতিক্রম করলে নষ্ট হবে শত শত হেক্টর জমির রোপা আমন। দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা।
উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, বৃষ্টিপাত কম থাকার কারণে এবং বর্ষা না হবার সম্ভাবনায় এবার কৃষক নিচু জমিতেও রোপা আমন চাষ করেছে। বৃষ্টি ও নদীর পানি বৃদ্ধি যেহেতু ডেনজার লেভেল ক্রস করেনি সেহেতু ফসলের ক্ষতি হবে না। বরং মাটির রস বাড়বে, ফসল আরো ভালো হবে। এখন পর্যন্ত উপজেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন