শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বৃষ্টিতে লকলকিয়ে বাড়ছে আমন

এস. কে. সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

শেরপুর সদর ও গারো পাহাড়ে বহু কাঙ্খিত বৃষ্টি পেয়ে কৃষকরা বেজায় খুশি। প্রায় সপ্তাহ জুড়েই হালকা হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে কয়েকদিনেই গাঢ় সবুজের সমারোহে ভরে গেছে জেলার আমন ধান খেত। ঝিনাইগাতী উপজেলার সারিকালিনগর গ্রামের কৃষক আলহাজ শরীফ উদ্দিন সরকার, প্রতাপনগর গ্রামের ডা. আব্দুল বারী, শালচুড়া গ্রামের সরোওয়ার্দী দুদু মন্ডল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় রোপন করা ধানের চারা খরায় হলদে হয়ে গিয়েছিল। জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। জমিতে পানি না থাকায় সার প্রয়োগও করা যায়নি। বৃষ্টি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অনেকে জমিতে সেচ দিয়ে ধান রোপন করেছেন। এরমধ্যেই গত সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। এখন খেতে সারও দিচ্ছেন কৃষক। গাঢ় সবুজ রঙে শেরপুর জেলা ও গারো পাহাড়ের মাঠ ভরে গেছে। দেখেই মণ ভরে যায় বলে জানান তারা। অন্যন্য কৃষকরাও জানান একই ধরণের কথা। অতিরিক্ত দামে ডিজেল কিনে সেচ দিয়ে জমির ধান রক্ষা করতে ৩-৪শ’ টাকা ঘণ্টা চুক্তিতে সেচ দিয়েছেন। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে তাদের আগাম রোপণ করা ধানের চারা পুড়ে যাচ্ছিল। উজানের অনেক কৃষক খেতে সেচ দিয়ে ধান বাঁচানোর চেষ্টা করেতে অতিরিক্ত খরচে ধান বাঁচানোর চেষ্টায় অর্থনৈতিকভাবে খতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার বলেন, সপ্তাহজুড়ে মোটামুটি ভাল বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে পর্যাপ্ত নাইট্রোজেন থাকে। যা সদ্য রোপিত ধানের চারার জন্য খুব প্রয়োজন। এ কারণে বৃষ্টির এক সপ্তাহের মধ্যে আমন ধান যথেষ্ট পয়মন্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে শতভাগ আমন রোপন সম্পন্ন হয়েছে। ঝিনাইগাতীতে আবাদ হয়েছে মোট ১৫ হাজার ২শ’ ৩৭ হেক্টর জমি। কোন আপদ বালাই না হলে এবার রোপা আমনের ভাল ফলন হবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, শেষ মুহূর্তে বৃষ্টিতে কৃষকের মনে স্বস্তি ফিরেছে। ধানগাছও লিকলিকিয়ে বেড়ে উঠছে। কোন রোগ বালাইও নেই। ইনশাআল্লাহ ফসল ও ফলন ভাল হবে বলে আমি আশাবাদি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন