শিশু সন্তানকে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগে মাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এই হৃদয়বিদরক ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপুর মিয়াপাড়া গ্রামে। গত সোমবার নিজ সন্তানকে হত্যার করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মা ফেরদৌসি বেগম। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপার শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপুর মিয়াপাড়া গ্রামের নুর আলম মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন (১০) গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজির করে না পেয়ে ৯ সেপ্টেম্বর শিশুটির মা ফেরদৌসি বেগম উলিপুর থানায় সন্তানের নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়রি করেন। ওই দিন পরিবারে পক্ষ থেকে ফরহাদের সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর সকালে নিখোঁজ শিশুর বাড়ি থেকে দুশ’ গজ দক্ষিণে জনৈক আকবর আলীর ধান ক্ষেত থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত ফরহাদ হোসেন স্থানীয় ঘাটিয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা নুর আলম বাদী হয়ে ওই দিন গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতেই অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগে উলিপুর থানায় মামলা করেন। এরপর থানা পুলিশ শিশু ফরহাদ হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্ত শুরু করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ০৮ সেপ্টেম্বর ফরহাদ রাতে দেরি করে বাড়িয়ে ফেরায় মা ফেরদৌসী তাকে অতিরিক্ত শাসন করতে গিয়ে আঘাত করলে ফরহাদের মৃত্যু হয়।
উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান, শিশুটির মা ফেরদৌসী বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন