নাটোরে আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। একই সঙ্গে ছিনতাইকৃত ২২ টি গরু ও ৩টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং-এ এমনই তথ্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান পিপিএম। গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা হলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কায়েমকোলা গ্রামের জামাল মন্ডলের ছেলে ফজলে রাব্বি (২৬), বগুড়ার গাবতলী উপজেলার চকডমর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মোঃ সেকেন্দার আলী, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মির্জপুর গ্রামের মোঃ সেকেন্দার আলীর ছেলে মোঃ শিশির মন্ডল ও বাগগাড়ি পাড়ার মৃত আসকার ব্যাপারীর ছেলে মিন্টু ব্যাপারী, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওখাদা গ্রামের মৃত সাইফুল ব্যাপারীর ছেলে রাসেল ব্যাপারী এবং মাদারীপুর সদরের চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সুলতান আহম্মেদের ছেলে ফারুক হোসেন।
প্রেস ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান জানান ২৯ শে আগষ্ট পটুয়াখালী জেলার কালাই হাট থেকে ১৩ টি এবং ৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চিলমারি হাট থেকে ১০ টি গরু কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় নাটোর-পাবনা মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার শিবপুর গ্রামের শুকুর আলীর বাড়ির সামনে থেকে এবং একই উপজেলার কয়েন গ্রামের গোরস্থানের সামনে থেকে ট্রাক দিয়ে গতিরোধ করে ট্রাকে থাকা গরুর ব্যাপারীদের হাত-পা বেঁধে কোন এক স্থানে ফেলে দিয়ে যথাক্রমে ১৩ টি ও ১০ টি গরু ছিনতাই করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। পরে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হলে অভিযানে নামে নাটোর জেলা পুলিশ।
অভিযানকালে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নাটোরের বড়াইগ্রাম, বগুড়ার গাবতলী, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছিনতাই হওয়া ২৩ টি গরুর মধ্যে ২২ টি গরু ও এক লাখ টাকাসহ লুন্ঠিত দুটি ট্রাক ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন