নাটোর কোর্টে বাবা হত্যার সাক্ষী দিতে গিয়ে ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার নাটোর আদালত চত্বরের একটি চায়ের দোকানে ওই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই নাটোর সদর থানায় জিডি করেছেন ছেলে বাবু মন্ডল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের মৃত জালাল মন্ডল একই এলাকার প্রতিপক্ষদের দ্বারা খুন হন দুই বছর আগে। হত্যা মামলার সাক্ষী মৃত জালাল মন্ডলের ছেলে বাবু মন্ডল। বৃহস্পতিবার নাটোর কোর্টে বাবার হত্যা মামলার সাক্ষী গ্রহণের তারিখ ছিলো। কিন্তু কারণ বসত তারিখ পরিবর্তন হয়। এ কারণে কোর্ট চত্বর থেকে বেরিয়ে এসে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলো বাবু মন্ডল ও তার স্বজনরা। সেই মুহূর্তে যোগেন্দ্রনগর এলাকার সাইদুল রহমান, শহিদুল ইসলাম, মাহাবুর রহমান, মোশারফ হোসেন, রেজাউল করিম বাঘা, আতিক ও আশরাফুল নামের কয়েকজন ব্যক্তি বাবু মন্ডলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনাস্থল থেকে বাবু মন্ডলের চিকৎকারে চারপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় একটি চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নেন বাবু মন্ডল।
বাবু মন্ডল জানান, আমার বাবা জালাল মন্ডলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। বাবার হত্যা মামলার সাক্ষী আমিও আছি। আমাকে সাক্ষী দিতে অনেকবার বাঁধা প্রদান করেছে প্রতিপক্ষরা। এমনকি নাটোর গিয়েও আমাকে বলে সাক্ষী না দিতে। সাক্ষী দিলে আমাকেও আমার বাবার মত হত্যা করবে। আমি প্রতিপক্ষদের নিষেধ না শোনার কারণে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি আমার ওপর অতর্কিত হামলা ও আমার বাবা হত্যাকারীদের বিচার দাবি করছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষে শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, বাবু মন্ডল মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে তাদের নামে।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ওসি মো. নাসিম আহমেদ জানান, বাবু মন্ডল নামের এক যুবক এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন