প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা খরচ করে পোলাপাইন পুষি। তোর মতো একটা চুনোপুটি খেয়ে হজম করতে সময় লাগবে না। তুই আমার প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যবহার না করার কথা বলার সাহস পেলি কিভাবে। অক্ষন ফোন দিমু যুবলীগের পোলাপাইন তোর হাত-পা ভাইঙ্গা নদীতে ফেলে দিবো। দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সিনিয়র রিপোর্টার ফারুক হোসেনকে এভাবেই হুমকি দেন নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয়ধারী এবং দক্ষিন মুগদার সিটি কম নামে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের মালিক শরীফ উদ্দিন। ফারুকের অপরাধ দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছিলেন না। অনিয়মিত এবং প্রায়ই সমস্যা দেখা দেয়ায় সার্ভিসটি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন ব্যবহারকারি সাংবাদিক ফারুক হোসেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় যুবলীগ নেতা পরিচয়ে শরীফ উদ্দিন ফারুক হোসেনকে হাত –পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেন। শুধু তা-ই নয় ফারুক হোসেনকে গতকাল শুক্রবার বাসায় ডেকে নিয়ে শরীফ উদ্দিনের ৪ ভাই মিলে নির্যাতনের হুমকি দেয়। তবে তাদের মধ্যে একজনের ছাড় দেয়ার মনোভাবে ওই সময় রক্ষা পান ফারুক হোসেন। কিন্তু বাসার বাইরে পেলেই যুবলীগের ক্যাডার দিয়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়। হোসেন এ ব্যাপারে মুদগা থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল সাধারণ ডাইরি করেছেন। (নং ৮৯৮)।
মুগদা থানার ওসি জামাল উদ্দীন মীর এবং জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জলিল মিয়া বলেছেন, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবেন। হুমকিদাতাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কিন্তু অফিস শেষে রাতে বাসায় ফিরতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন ফারুক হোসেন। মুগদার বাসায় তার স্ত্রী সন্তানরাও রয়েছেন চরম আতঙ্কে।
এদিকে শরীফ উদ্দিন নিজেকে যুবলীগের নেতা দাবি করলেও ৬ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেছেন, শরীফ উদ্দিন তাদের দলের কেউ নন। তবে স্থানীয়রা বলেছেন, শরীফরা ৬ ভাই। স্থানীয় হওয়ায় তাদের ভিন্ন রকমের দাপট। দক্ষিন মুগদার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, শরীফ নিজে একজন সন্ত্রাসী। তাকে দেখলে এলাকার গৃহবধূ ও তরুনীরা এখনো ভয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ইন্টারনেটের ব্যবসা করার সুযোগ নিয়ে শরীফ বিভিন্ন বাসায় যাতায়াত করে। সেখানে তার অনাকাঙ্খিত আচরনের বিষয়টিও কেউ প্রকাশ করার সাহস পায়না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন