বাংলাদেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে ১০ হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। দেশে ১ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মৃত্যুর প্রধান পাঁচটি কারণের মধ্যে ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু’ অন্যতম। গতকাল শনিবার সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে গণমাধ্যম বিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমষ্টি আয়োজিত ‘পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে ইস্যুভিত্তিক সংবাদ লিখন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে আরও বলা হয়, বিশে^ প্রতিবছর ২ লাখ ৩৫ হাজার শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হচ্ছে। যার ৯০ ভাগ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে। বর্তমানে বিশে^ পানিতে ডুবে যাওয়াকে শিশুদের অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ও আঘাত প্রাপ্তির ৩য় প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার বিশে^র মধ্যে উল্লেখযোগ্য। যাদের অধিকাংশই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করে। তিনটি প্রতিরোধযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এগুলো হলো ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় ডে-কেয়ার সেন্টারে রাখা, ৫-১০ বছরের শিশুদের সাঁতার শেখানো ও ব্যাপকহারে সচেতনতা বৃদ্ধি। প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা পুলক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজা রশীদ। আলোচনা করেন চ্যানেল আই’র সিনিয়র নিউজ এডিটর ও সমষ্টি’র নির্বাহী পরিচালক মীর মাসরুর জামান, শিশু একাডেমির ইসিডি স্পেশালিস্ট তারিকুল ইসলাম, সমষ্টির পরিচালক (গবেষণা) রেজাউল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জিএম মনিরুল ইসলাম মিনি, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন প্রমুখ।
দু’দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সাতক্ষীরায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন