রংপুরের বদরগঞ্জে দেশিয় প্রজাতির নানা ধরনের মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চল হতে প্রায় বিলুপ্তির পথে চোপড়া, বালিয়া, শিং, মাগুর, কৈ, মহাশৈল, গজার, বোয়াল, বাইন, টেংরাসহ নানা প্রজাতির মাছ। গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতেও আর এসব প্রজাতির মাছ সহজে চোখে পড়েনা। দেশিয় প্রজাতির এ সকল মাছের বংশবৃদ্ধির হার আশংকাজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে নদ-নদী খাল বিলসহ মুক্ত জলাশয়গুলো মাছ শুন্য হয়ে পড়বে বলে মতামত ব্যক্ত করেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলাটিকে যমুনেশ^রি, চিকলি, মরা তিস্তা, ঘিরনই ও গড়ডাঙ্গি নামে ৫টি নদী ঘিরে রেখেছে। নদীর মোট আয়তন ২৮ হেক্টর। অথচ মাছের জন্য অভয়াশ্রম রয়েছে মাত্র ১টি, যার আয়তন ০.৫ হেক্টর। যা নদীর আয়তন অনুপাতে নগণ্য।
বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম জানান, নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস, দায়সারা গোছের ড্রেজিং ব্যবস্থা, নদী সংশ্লিষ্ট খালবিলের গভীরতা কমে যাওয়া, নদী ভরাট করা, মা-মাছের আবাসস্থল নষ্ট করা, ডোবা নালা সেচ দিয়ে মাছ ধরা, জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, জলাশয় দুষণ, রাক্ষুসে মাছের চাষসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেশিয় মাছ বিলুপ্তির অন্যতম কারণ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় ব্যানার্জি জানান, কারেন্ট জালের ব্যবহার, সেচ দিয়ে মাছ ধরা, বিষপ্রয়োগ, মৎস্যজীবিদের অসচেতনতা, নদীর আয়তন অনুযায়ি অভয়াশ্রমের আয়তন কম হওয়া ও বেশি বেশি মাছের অভয়াশ্রম সৃষ্টি না হওয়ায় এ অঞ্চলে দেশিয় মাছের আকাল দেখা দিয়েছে, তবে মৎস্য বিভাগ প্রজনন ক্ষেত্র সৃষ্টি মাধ্যমে দেশিয় মাছের অভাব পূরনে আপ্রান চেষ্টা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন