বরগুনার বেতাগীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩ হাজার ২৭৫ কেজি সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বস্তাভর্তি এ চাল জব্দ করে উপজেলা পরিষদের গোডাউনে জমা রাখেন।
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিএম ওলিউল ইসলামকে প্রধান ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো: গোলাম মোস্তফা এবং ওসিএলএসডি রিগান দেবনাথের সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিস্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে
আগামী দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার বিকাল ৫টা থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মা: সুহৃদ সালেহীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেতাগী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর
অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ও বেতাগী সদর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির
ডিলার মনির হোসেন লাভলুর বাসায় সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সরকারি
চালের বস্তা থেকে ব্র্যান্ডিং বস্তায় প্যাকেটজাত করা মজুদকৃত ৩ হাজার ২৭৫ কেজি (৩ টনের অধিক) চাল জব্দ করেন। যা ৮৯টি বস্তাাভর্তি ছিলো গুদামে দেখা গেছে। এ সময় ডিলার মনির হোসেন লাভলু নিজ বাসার একটি বদ্ধ ঘরের মধ্যে বিভিন্ন নামীদামী ব্র্যান্ডের বস্তায় সরকারি এ চাল প্যাকেটজাত হচ্ছিল। এ চাল ওএমএস কর্মসূচির বলে উপজেলা প্রশাসন এমনই ধারনা করছে ।
এ বিষয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মো: মনির হোসেন লাভলু জানান, ওই চাল ওএমএস কর্মসূচির নয়। স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রনিধিদের কাছ থেকে টিআর, কাবিখার চাল ক্রয় শেষে তা তাঁর বাসায় বিক্রির উদেশ্যে মজুদ করেছেন। দাম কম থাকার কারণে তা বিক্রি করতে পারেননি।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, এটা সরকারি চাল কোন দ্বিমত নেই। এঘটনায় ৩ সদস্য একটি কমিটি গঠন করে আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার
নির্দেশ দিয়েছি। জব্দ করা চাল উপজেলা পরিষদের গোডাউনে মজুদ রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন