বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের উপলশহর গ্রাম থেকে গত রোববার দুপুরে শ্যামলী খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় ফাঁস নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। নিহত শ্যামলী খাতুন উপজেলার উপলশহর গ্রামের আব্দুল মালেকের স্ত্রী ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে। তাদের সংসারে ১০ ও পাঁচ বছর বয়সের দুটি ছেলে রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, শ্যামলী খাতুন তার স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর কর্মস্থল পাবনায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তার কলহ চলছিল। খবর পেয়ে শ্যামলীর পিতা গত শনিবার সন্ধ্যায় পাবনায় যান। সেখানে কথাবার্তা শেষে রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে শ্যামলী বাসার রান্না ঘরের তীরের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে গত রোববার ভোরে দেখতে পেয়ে শ্যামলীর স্বামী ও বাবা তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম জানান, পাবনায় মারা যাওয়ার পর লাশ বড়াইগ্রামে এনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন