সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে সেরার খেতাব জিতে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে আজ দুপুরে দেশে ফিরছেন সাবিনা খাতুনরা। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাফ জয়ী নারী ফুটবলারদের বরণ করে নিবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আগের দিন নিজেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ছাদখোলা বাসে করে বিজয় উদযাপন করে লাল-সবুজের নারী ফুটবলারদের নিয়ে আসা হবে মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে। বিমানবন্দরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিজয়ী ফুটবলারদের বরণ করে নিলেও সেখানে থাকবেন না বাফুফে ও সাফ সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। তিনি মতিঝিলের বাফুফে ভবনেই সাবিনাদের বরণ করে নেবেন। গতকাল বিকেলে বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যটি নিজেই জানান সালাউদ্দিন। চ্যাম্পিয়ন দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সভাপতি হিসেবে নয়, সাফ সভাপতি হিসেবেও টুর্নামেন্টের ফাইনালে কাঠমান্ডুতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সালাউদ্দিনের। কিন্তু তিনি নেপালে যাননি। থাকতে পারেননি বাংলাদেশের মেয়েদের অবিস্মরণীয় বিজয় উদযাপনেও। নেপালে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে ছিলেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার কিরণ। তবে, সালাউদ্দিন বিমানবন্দরে না গেলেও বাফুফে ভবনে সাবিনা-কৃষ্ণাদের জন্য অপেক্ষা করবেন। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে সাফ জয়ী নারী ফুটবলাররা বিজয় উদযাপন করতে করতে মতিঝিলের বাফুফে ভবনে পৌঁছার পর এখানে ফুটবলারদের আরেক দফা স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন কাজী সালাউদ্দিন। কেন তিনি বিমানবন্দরে যাবেন না? সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ফিরে সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন করলেও সালাউদ্দিন মনে করেন, বিমানবন্দরে গেলে চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলারদের চেয়ে সাধারণ মানুষের এবং গণমাধ্যমের ফোকাস তার উপরই এসে পড়বে। তিনি চান, যে মেয়েরা দেশকে সম্মান এনে দিয়েছে, জাতিকে করেছে গর্বিত। তাদের উপরই সব আলো পড়–ক। এ প্রসঙ্গে বাফুফে বস বলেন, ‘আমি বিমানবন্দরে যাবো না। কারণ গেলে আপনারা আমাকেই প্রশ্ন করবেন। এটা মেয়েদের টিম, ওরাই খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি চাই আলো যেন ওদের উপর থাকে। অনেকে যাবেন। সচিব যাবেন। আমি চাই, আপনারা এটাকে প্লেয়ারস কাপ করে তুলুন। আমার না যাওয়া নিয়ে আপনারা ভুল বুঝবেন না।’ সালাউদ্দিন জানান, তার বাসা থেকে বিমানবন্দরই সবচেয়ে কাছে।
সাফের ফাইনালে কাঠমান্ডুতে না যাওয়ার কারণও সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাফুফের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি কাঠমান্ডু গেলে ভালোও হতে পারতো আবার খারাপও হতে পারতো। আমি গেলে হয়তো মেয়েরা চাপে পড়ে যেত। যদি ওদের ওপর এক্সট্রা প্রেসার হয়ে যায়, সেজন্যই আমি কাঠমান্ডু যাইনি। তবে ওদের সব খেলা দেখেছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন