এ, কে, এম, ফজলুর রহমান মুনশী : আল্লাহপাক পয়গাম্বরগণকে ইমাম, পেশোয়া, হাদী ও পথ প্রদর্শক বলে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ নবুওত ও অহীর দ্বারা মর্যাদাপূর্ণ হওয়ার পর তাদের পবিত্র সত্তা হেদায়েত, পথ প্রদর্শন, ইমামত এবং নেতৃত্বের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়। তাদের আবির্ভাব এ জন্যই হয়ে থাকে, যেন তারা মানুষকে হেদায়েত করেন এবং তাদেরকে গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা হতে রক্ষা করেন। তারা যে উম্মতের সামনে আবির্ভূত হন তাদের সামনে হেদায়েত এবং পথ প্রদর্শনের চেরাগ সমুজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং উভয় দিকের আলো সম্মিলিত হয়ে একক সত্তায় পরিণত হয়। ইহুদিগণ যে সকল মুসলমানকে নিজেদের অপকর্ম দ্বারা পথভ্রষ্ট করতে চেয়েছিল, তাদেরকে লক্ষ্য করে আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন, “হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আহলে কিতাবের কোনও দলের কথা মান, তাহলে ঈমান আনয়নের পর তোমাদেরকে ধর্মচ্যুত করে দেবে। আর তোমরা কেমন করে কুফুরী করবে? তোমাদের মাঝে আল্লাহর রাসূলও রয়েছেন।” (সূরা আলে ইমরান : রুকু-১০) এই আয়াতের শেষাংশ হতে প্রমাণিত হয় যে, কুফুরী থেকে বাঁচার জন্য মুসলমানদের নিকট পরিপূর্ণ দুটি বস্তু ছিল। প্রথমত, আয়াতে ইলাহী, যা তাদেরকে পাঠ করে শোনানো হতো এবং দ্বিতীয়ত, স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পবিত্র সত্তা। যিনি স্বীয় তালীম ও তালকীন, ফয়েজ ও সোহবত এবং মর্মস্পর্শী প্রভাবের দ্বারা তাদেরকে ভুল পথে চলতে দিতেন না এবং পথ ভ্রষ্টতার বিরুদ্ধে প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতেন। শুধু যদি কিতাবে ইলাহী এই কাজকে আঞ্জাম দিতে সক্ষম হতো, তাহলে রাসূলের কথা উল্লেখ করা এবং বিশেষ করে রাসূল প্রেরণের কি প্রয়োজন ছিল? এতে বোঝা যায় যে, আল্লাহপাকের নির্বাক কিতাব (কোরআন), এই কিতাবের বাকশক্তিসম্পন্ন সত্তার (রাসূলের) সাথে মিলেমিশে নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্পন্ন করেন। সম্ভবত এই সহিহ হাদিসের সার্বিক অর্থও তা-ই, যার ঘোষণা রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বীয় বিদায় হজের সময় প্রত্যাবর্তনকালে ওফাতের কিছু দিন পূর্বে বলেছিলেন, “হে মুসলমানগণ! আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, আল্লাহর কিতাব এবং আমার সুন্নাত অর্থাৎ আমার আমলী জিন্দেগী।” এ কথা সুস্পষ্ট যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাতের পর তাঁর প্রকাশ্য ও জাহেরী অস্তিত্ব মিটে গেছে, কিন্তু তাঁর সুন্নাত বা আমলী জিন্দেগী কায়েম ও দায়েম রয়েছে। এই আমলী জিন্দেগীও আল কোরআনের পরে আমাদের হেদায়েতের দ্বিতীয় প্র¯্রবণ।
তাজকিয়া ও পবিত্রতা : সামগ্রিকভাবে সকল আম্বিয়ায়ে কেরাম, বিশেষ করে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অপর একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে তাজকিয়া ও পবিত্রতা। তাকজিয়ার অর্থ হলো পাক-সাফ করা। নবুওতে মোহাম্মদীর (সা.) এই গুণটির উল্লেখ আল কোরআনের ঐ সকল আয়াতে বিধৃত আছে, যেগুলোর মাঝে তার এই মহান গুণের কথা বলা হয়েছে যে, “এমন এক রাসূল যিনি মানুষের সামনে আল্লাহর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন এবং তাদেরকে পাক-সাফ করেন।” এটাও সুস্পষ্ট যে, তাঁর এই তৃতীয় গুণটি প্রথম দুটি গুণ হতে পৃথক। কেননা পাক-সাফ করা আয়াতে ইলাহীর তিলাওয়াত এবং কিতাব ও হিকমতের তালিমের পর নবীর আমলী অবস্থার কথা ব্যক্ত করে যে, তাঁর তালীম, তরবিয়ত, ফয়জানে সোহবত, মাধুর্যম-িত পবিত্র চরিত্র, উপদেশ ও নসিহত এবং দাওয়াত ও তাবলীগের প্রভাবে মন্দ, বদ ও দুশ্চরিত্রসম্পন্ন ব্যক্তি উত্তম, পুণ্যবান ও সচ্চরিত্র বনে যায়। আম্বিয়ায়ে কেরামের সার্বিক ইতিহাস এ ঘটনাকে প্রকাশ করে যে, তারা বদকার, পথভ্রষ্ট ও দুষ্কৃতকারী কাওমের প্রতিই প্রেরিত হয়েছিলেন। তারা নানারকম দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছেন। কিন্তু পরিশেষে অন্ধকারকে আলোর দ্বারা, গোমরাহীকে জ্ঞানের দ্বারা এবং কুফুরীকে তাওহীদের দ্বারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন এবং দীর্ঘকাল যাবত তাদের এই প্রভাবের প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান ছিল। তাদের এই তাজকিয়া গুণটি অহী এবং ইহলাম ছাড়া তাদের দেহ, প্রাণ, জবান ও অন্তরের পরশ-পাথর সদৃশ প্রতিক্রিয়ার নাম। চাই সে সময় তাদের জবান অহীয়ে ইলাহীর দ্বারা হোক বা নিশ্চুপ থাকুক। বরং প্রতিটি মুহূর্তে সত্য-সূর্যের কিরণসমূহ নবুওতের দিকচক্রবাল হতে উদিত হয়ে অন্তর প্রদেশকে আলোকিত করে তুলছিল।
নূর বা আলো : এই জন্য নবুওত সম্পন্ন বক্ষদেশ হয় সত্য ও পবিত্রতার দর্পণস্বরূপ। নবীর পবিত্র দেহ কাঠামো সাধারণ অন্ধকারের চেরাগ এবং এলেম ও হেদায়েতের নূরের নবদিগন্তস্বরূপ। যেভাবে তাঁর ইলহামী দিকনির্দেশনা এবং অহীয়ে রাব্বানী সার্বিকভাবে নূর বা আলো, তেমনি তিনি নিজেও সমস্ত অঙ্গায়ব নিয়ে নূরেরই প্রতিকৃতি। যার মাঝে অন্ধরা দেখতে পায়, পথভ্রষ্ট পথ খুঁজে পায় এবং তার অন্বেষণকারীগণ নূরের ঝলকে সমুজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আল-কোরআনে তাঁকে খেতাব করে ঘোষণা করা হয়েছে, “হে নবী! আমি তোমাকে প্রত্যক্ষ সাক্ষী, খোশ-খবরিদাতা, সতর্ককারী, আল্লাহর দিকে তাঁরই নির্দেশে আহ্বানকারী এবং সমুজ্জ্বলকারী চেরাগস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” (সূরা আহযাব : রুকু-৬) এই আয়াতে বর্ণিত চতুষ্পার্শ্বকে আলোকিতকারী চেরাগ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পবিত্র সত্তা। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন হতে পারে যে, যদি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দেহ ও প্রাণ, জবান ও অন্তর, চরিত্র ও আমল, জ্ঞান ও মনীষার মাঝে আলো না থাকে, তাহলে তাঁর পাক-পবিত্র সত্তা যা এসকল বস্তুর সমষ্টি তার সমুজ্জ্বল চেরাগরূপে কীভাবে প্রতিপন্ন হতে পারে? এর উত্তর একটিই। তা হলো রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পবিত্র সত্তার সবকিছুই আনওয়ারে ইলাহীর বিকাশ। এ সমষ্টিগত নূরের যে কোনো একটির আলোতে চলাই হচ্ছে হেদায়েত। আর এগুলোর কোনও একটির প্রতি দৃষ্টি না দেয়ার অর্থই হচ্ছে পথভ্রষ্টতার অন্ধকারে কদম রাখা।
আয়াত ও মালাকুত দর্শন : যেভাবে আম্বিয়ায়ে কেরাম নিজের শ্রবণশক্তি দ্বারা গায়েবী আওয়াজসমূহ শ্রবণ করতেন এবং অহীর আওয়াজ শ্রবণ করতেন, তেমিন তাদের দৃষ্টি অনেক কিছু অবলোকন করত, যা সাধারণ মানুষ দেখতে পেত না। আল-কোরআনে হযরত ইব্রাহীম (আ.) সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, “এবং এভাবেই আমি ইব্রাহীম (আ.)-কে আকাশসমূহ ও জমিনের সা¤্রাজ্য প্রত্যক্ষ করিয়েছিলাম। যেন তিনি মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হন।” (সূরা আনআম : রুকু-৯) নবুওতের শক্তি ও শিক্ষা এবং পরিপূরণ ও বিস্তৃতির লক্ষ্যে চাক্ষুষ দৃষ্টিশক্তির ঊর্ধ্বশক্তি তাদেরকে দান করা হয়েছিল। হযরত মূসা (আ.) তুর পর্বতের ওপর যা কিছু দর্শন করেছিলেন, তা প্রেম ও সৌন্দর্যের বাহ্যিক বিকাশের বিখ্যাত কাহিনী হয়ে আছে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ‘রুহানী মোশাহাদাত’ এর প্রসঙ্গে মিরাজের সাথে সম্পর্কিত হয়ে এভাবে ব্যক্ত হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, “যেন আমি সেই রাসূল বান্দাহকে স্বীয় নিদর্শনাবলী দেখাতে পারি।” (সূরা বনী ইসরাঈল : রুকু-১) অপর একস্থানে ইরশাদ হচ্ছে, “তিনি যা প্রত্যক্ষ করেছেন, এতে অন্তর মিথ্যা বলেনি। তিনি যা প্রত্যক্ষ করেছেন এ নিয়ে তোমরা কি ঝগড়া করছ? এমনকি দ্বিতীয়বার তিনি তাকে অবতরণ করতে দেখেছিলেন।” (সূরা নজম : রুকু-১) অন্যত্র আরও ইরশাদ হচ্ছে, তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি এবং লক্ষ্যচ্যুতও হয়নি। তিনি তো তার প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী প্রত্যক্ষ করেছিলেন। (সূরা নজম : রুকু-১) অপর একস্থানে ইরশাদ হয়েছে, “এবং অবশ্যই তিনি তাকে আকাশের উন্মুক্ত দিকচক্রাবালে প্রত্যক্ষ করেছিলেন” (সূরা তাকভীর) এই মোশাহাদা অহী ও ইলহাম ছাড়া নবুওতের অপর এক দৃষ্টিশক্তির বৈশিষ্ট্যকে বিকশিত করে তুলেছে।
গায়েবকে শ্রবণ করা : যেভাবে আয়াত ও মালাকুত প্রত্যক্ষ করা আম্বিয়ায়ে কেরামের দৃষ্টিশক্তির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য তেমনিভাবে গায়েবের আওয়াজ অহীর ধ্বনীকে শ্রবণ করাও তাদের শ্রবণেন্দ্রিয়ের একটি সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য। আল-কোরআনে এর বিশ্লেষণ রয়েছে। আম্বিয়ায়ে কেরাম আল্লাহর সাথে কথাবার্তা বলেছেন এবং অহী লাভ করেছেন। আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “আল্লাহপাক হযরত মূসা (আ.)-এর সাথে কথা বলেছিলেন।” (সূরা নিসা রুকু-২৩) রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে হুকুম দেয়া হয়েছিল, “তোমার প্রতি আল্লাহর অহী সম্পূর্ণ হবার পূর্বে কোরআন পাঠে তুমি ত্বরা কর না।” (সূরা ত্বাহা : রুকু-৬) আল্লাহপাক পয়গাম্বরদেরকে ডাক দিয়েছেন এবং তারা তাঁর আওয়াজসমূহ শ্রবণ করেছিলেন, “আমি ডাক দিয়েছি।” বারবার এই আহ্বান কোরআনুল কারীমে পয়গাম্বরদের সম্পর্কে ঘোষণা করা হয়েছে।
রিসালাতের ব্যাপ্তি : অহীয়ে ইলাহী আল-কোরআনে সুবিন্যস্ত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রিসালত প্রসূত যে সকল মীমাংসা এবং ফায়সালা বিভিন্ন হাদিসের কিতাবে উদ্ধৃত আছে, সেগুলোর অনুসরণ, অনুকরণ করাও উম্মতের ওপর অপরিহার্য কর্তব্য। কেননা আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে “তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব নাজিল করেছি, যাতে তুমি আল্লাহপাক তোমাকে যা জানিয়েছেন সে অনুসারে মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা কর। (সূরা নিসা : রুকু-১৬) এখানে কিতাবে ইলাহীর নুযুলের উদ্দেশ্য এটাই তুলে ধরা হয়েছে যে, হে রাসূল (সা.) আল্লাহর আহকাম ও কানুনসহ যে বুদ্ধিমত্তা আল্লাহপাক তোমাকে প্রদান করেছেন এর দ্বারা তুমি মানুষের মাঝে ফায়সালা ও ইনসাফ করবে। এই বুঝ বুদ্ধিমত্তার বিকাশ তার ফায়সালাসমূহের মাঝে বিবৃত রয়েছে, যা অহীয়ে ইলাহীর পরই দ্বীনের দ্বিতীয় উৎসস্থল।
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ফায়সালার ওপর কপট বিশ্বাসীরাও আস্থাবান ছিল। তাই দেখা যায় প্রয়োজনের প্রাক্কালে সঠিক ফায়সালা লাভের প্রত্যাশায় তারা আদালতে নববীতে ধরনা দিত। কিন্তু কোনও ফায়সালা তাদের আকাক্সক্ষার বিপরীত হলে তারা ভিন্নভাবে বিহিত-ব্যবস্থা লাভের প্রচেষ্টা চালাত। তাদের এই কপটতাকে আল্লাহপাক এভাবে তুলে ধরেছেন, ইরশাদ হচ্ছে, “এবং যখন তাদেরকে আহ্বান করা হয় আল্লাহ ও তার রাসূলের দিকে এদের মাঝে ফায়সালা করার জন্য, তখন তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়।” (সূরা নূর : রুকু-৭)
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সকল ফায়সালাই ছিল কল্যাণ ও মঙ্গলবহ। এর আনুগত্য ও অনুসরণ মূলত আল্লাহর নির্দেশেরই অনুসরণ। ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য তা অত্যন্ত আবশ্যক। আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “যখন আল্লাহ ও রাসূল কোনও ব্যাপারে ফায়সালা গ্রহণ করেন, এর মাঝে বিশ্বাসী নর-নারী, কাহারো কোনো এখতিয়ার নেই।” (সূরা আহযাব : রুকু-৫) (বস্তুত রিসালাতের ব্যাপ্তি এর দ্বারাই উপলব্ধি করতে হবে)
শেষ কথা : এই সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, প্রিয় পাঠকদের সামনে নবুওতের মৌলিক কামালাতের একটি ঝলক প্রদর্শন করা। কবি কত সুন্দরই না বলেছেন, দার্শনিকরা পয়গাম্বরদের অবস্থা এতটুকুই বোঝেন যতটুকুন বুদবুদকে কেউ মোতি বলে মনে করে থাকে। বুদবুদকে কখনো হাত দ্বারা স্পর্র্শ করা যাবে না, কিন্তু মোতির সৌন্দর্য হাত দ্বারা সবাই উপভোগ করতে পারে। মোতি রাতের আঁধারে চেরাগের মতো আলো দান করে, কিন্তু বুদবুদের প্রকৃতি বাতাসের সাথে বিলীন হয়ে যায়। দার্শনিকরা কুয়ার পানিতে সূর্যের অবলোকন করেন, কিন্তু প্রকৃত সূর্যের আলোর স্মরণ মাথা কুটলেও সেখানে পাওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সমুজ্জ্বল নূরের জ্যোতি ঊর্ধ্বালোকে বিকশিত হয়ে মর্তলোক পর্যন্ত উদ্ভাসিত করে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নূরের সাথে প্রাণপণে যারা সুসম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম হয়, তারাই বারগাহে পরওয়ারদিগারের সাথে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম। পয়গাম্বরগণ আকাশ হতে বাণী লাভ করে তা মর্তলোকে প্রদান করেন, কিন্তু দার্শনিকরা ভূ-পৃষ্ঠের বস্তুনিচয় নিয়েই ব্যতিব্যস্ত থাকেন। এই সম্পর্ক প্রাণের তারে তারেই নিবদ্ধ থাকে, তাকে তাই মনের মণিকোঠায়ই রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মহব্বতকে স্থান দিতে হবে। (মাওলানা হামিদুদ্দীন (রহ.)-এর ফার্সি দিওয়ান হতে গৃহীত : মৃত্যু-১৯ জমাদিউসসানি : ১৩৪৯ হিজরি)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন