পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান অবশেষে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে সরকারকে চাপ দেয়ার জন্য শনিবার থেকে একটি নতুন আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীর দিকে পিটিআইয়ের লং মার্চকে সমর্থনকারী প্রদেশগুলোতে গভর্নর শাসন জারির হুমকি দিয়েছেন এবং ডি-চকে পৌঁছানোর চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এর আগেই সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। ফলে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেয়া ও লং মার্চের সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত কিছু ছিল না। এ প্রেক্ষিতে ইসলামাবাদ পুলিশ মঙ্গলবার থেকেই রাজধানীর রেড জোনের প্রবেশ এবং প্রস্থান পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তবে পুলিশ একটি টুইটে দাবি করেছে যে, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কারণ পাঞ্জাব থেকে ‘কিছু লোক’ তাদের রাজনৈতিক দাবি মেনে নেয়ার জন্য ইসলামাবাদের দিকে রওনা হয়েছিল।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট লাহোর রেজিস্ট্রির বাইরে একটি সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় ইমরান খান জাতিকে দেশে ‘প্রকৃত স্বাধীনতা’র জন্য তার আন্দোলনে যোগ দেয়ার আবেদন করেছিলেন। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি দাবি করেছেন, বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানের জন্য শ্রীলঙ্কার মতো অশান্তির পূর্বাভাস দিয়েছে। অর্থনীতি সঙ্কুচিত হওয়ার সাথে সাথে বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী হওয়ায় দেশ সামাজিক অস্থিরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক ‘অস্থিরতা’ থেকে বের করে আনার জন্য তার পরিকল্পনা তুলে ধরে পিটিআই প্রধান বলেছিলেন যে, বিদেশী পাকিস্তানিদের অর্ধেক এখানে বিনিয়োগ করলে দেশটির আইএমএফের অর্থের প্রয়োজন হবে না। লন্ডনে তার ভাই নওয়াজের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের বৈঠক এবং সেনাপ্রধানের নিয়োগের বিষয়ে কথিত আলোচনার বিষয়ে খোঁচা দিয়ে ইমরান খান প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এই লোকেরা কি জাতীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে? শেয়ালের নেতৃত্বে সিংহের বাহিনী হেরে যাবে, কিন্তু সিংহের নেতৃত্বে শেয়ালের বাহিনী জিতবে।’ সূত্র: ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন