শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

শারদ উৎসবে মেতেছে ঢাবির চারুকলা ইনস্টিটিউট

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৫০ পিএম

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। প্রতিটি ঋতুতেই বাংলার প্রকৃতি নিজেকে মেলে ধরে নতুন রূপে ও নতুন সাজে। আর ঋতু উৎসবের শুরু মূলত রবীন্দ্রনাথের হাত ধরেই। তিনি সব ঋতু নিয়েই লিখেছেন। তিনি বলেন, এই বঙ্গে ঋতু উৎসব শুরু হয় ষাটের দশকে রাজধানী ঢাকায় ছায়ানটের পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মধ্য দিয়ে।

পরে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির সবচেয়ে বড় এ অসাম্প্রদায়িক উৎসব ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পহেলা বৈশাখে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‌‘শরৎ উৎসব-১৪২৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, শরৎ আমার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু। এ ঋতু এলেই দিগন্ত বিস্তৃত কাশফুল দেখতে বেরিয়ে পড়ি। রাজধানীর ঢাকার পূর্বাচল ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার খোলা স্থানসমূহ, উত্তরা ও আফতাবনগরে কাশফুল বন দেখতে পাওয়া যায়। পদ্মা সেতু পার হওয়ার সময় নদীর দুদিকে পদ্মার চরেও কাশফুলের দেখা মেলে। শরতের বিকেল অসাধারণ। সাদা মেঘের ভেলা ও কাশফুলের শুভ্রতা মন জুড়িয়ে দেয়। এ ঋতুকে আমি খুব উপভোগ করি। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ ও নৃত্যশিল্পী ড. নিগার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।

অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, মাসুদুজ্জামান, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি ও সেবতি প্রভা। একক সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী, অনিমা রায়, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, বিজন চন্দ্র বিশ্বাস, সঞ্জয় কবিরাজ, আরিফ রহমান, ফেরদৌসি কাকলি, রত্না সরকার, এস এম মেজবাহ, শ্রাবণী গুহ রায়, নবনীতা জাহিদ চৌধুরী অনন্যা, তাপসী ঘোষ ও মারুফ হোসেন। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন স্পন্দন, সুরবিহার, নৃত্যাক্ষ, ভাবনা, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস ও নৃত্যজন। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখা, সুরনন্দন, পঞ্চভাস্কর, সুরবিহার ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন