প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ভিশন বাস্তবায়ন ও বেকার সমস্যা দূরিকরণে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন তরুণ উদ্যোক্ততা মো. রিয়াজ উদ্দীন আশিক। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের আজ্ঞাপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আমজাদ হোসেন ডিলার। আশিক মাত্র ২৬ বছর বয়সেই তিনি স্বীয় প্রতিভা, প্রচেষ্ট, মেধা ও কর্মকৌশল খাঁটিয়ে নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি সমাজে বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে বেকার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রেখে আসছেন। ২০১৬ সন থেকে ১০১৮ পর্যন্ত কর্পোরেটে সার্ভিস করার পর তিনি দেশে তাঁর নিজস্ব প্রচেষ্টায় এগ্রোফার্ম এণ্ড কনস্ট্রাক্টন কোম্পানি স্থাপনে মনোনিবেশ করেন। যা এলাকায় সবার দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে। তিনি বুড়িচং উপজেলার পূর্ব খুদাইধুলী, উত্তর কালিকাপুর ও পশ্চিম আজ্ঞাপুর মৌজায় অবস্থিত প্রায় ৩৫ একর জমির মধ্যে মেসার্স আশিক এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ফার্ম স্থাপন করেন। যেখানে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ, শাকসবজি উৎপাদন, কনস্ট্রাক্টশন ফার্ম বিজয় বিল্ডার্স এর কার্যক্রম স্থাপন করেছেন। প্রচুর লোকবল খাঁটিয়ে তিনি প্রতিনিয়ত লাভের মুখ দেখতে পেরে নিজেকে সফল মনে করছেন। পাশাপাশি তার স্বীয় উদ্যোগে প্রায় ১০ হাজার ব্রয়লার মুরগীর জন্য সেট তৈরির কাজ ও এগ্রো ফার্ম স্থাপন প্রক্রিয়াধীন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি ২০১৭ সনে বিবিএ, এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে চাকরির পেছনে না ঘুরে উক্ত প্রকল্পে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর ওই খামারে বর্তমানে প্রায় শতাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। কাজের ওপর ভিত্তি করে শ্রমিক সংখ্যা মাঝে মাঝে ৩ শত পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে। ইট, বালি, সুরকি ও সিমেন্টসহ নির্মাণাধীন অনেক সামগ্রী ও তিনি বিক্রি করেন তিনি। সকল শ্রমিকরা নির্ধারিত পোশাক একই (ওয়ার্কিং ড্রেস) পড়ে ডিউটি পালন করতে হয়। পাশাপাশি তিনি ম্যাক্স ও ট্রমা কনস্ট্রাক্টশন কাজে ও তরুণ এ উদ্যোক্ততা মো. আশিক একজন ‘এ’ ক্যাটাগরির সাপ্লাইয়ার্স হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। শুধু বেকার সমস্যা ও সরকারের মিশন ভিশন বাস্তবায়নে নয় তিনি নি:স্বার্থভাবে এগিয়ে এসেছেন নিজ উদ্যোগে জনগণের জন্য রাস্তা নির্মাণ কার্যক্রমেও। তিনি নিজ খরচে জনগণ চলাচল ও প্রকল্পের সুবিধার জন্য পশ্চিম আজ্ঞাপুর থেকে রেললাইন পর্যন্ত প্রায় দেড় কি.মি. রাস্তা মেরামত করেন এবং আজ্ঞাপুর দক্ষিণপাড়ায় সোলার লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করেন। তার মৎস্য খামারে বর্তমানে গতবারের চেয়ে ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আর কনস্ট্রাক্টশন ফার্মে বছরে ওয়ার্ক অর্ডার হয় প্রায় ৫ কোটি টাকা।
তার কনস্ট্রাক্টশন ফার্মে কর্মরত আজ্ঞাপুর গ্রামের অছি মিয়া সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অছি মিয়া বলেন, প্রবাস থেকে এসে যখন কোন কাজ পাচ্ছিলাম না তখন খুব কষ্টে জীবন চলছিল। বর্তমানে এখানে কাজ করে সংসার ছেলে মেয়ে নিয়ে অত্যান্ত ভালোভাবে দিনাতিপাত করছেন বলে প্রতিবেদককে জানান। কনস্ট্রাক্টশন ফার্মের সিও হিসেবে কর্মরত সোহেল খান।
ফার্মের প্রধান হিসাব রক্ষক মো. মাহমুদুল হাসান রাহাদ বলেন- আমি ভিক্টোরিয়া থেকে পড়ালেখা করে আশিক এন্টাপ্রাইজে হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত থেকে ভালোভাবে দিনাতিপাত করছি। ভবিষ্যাতে সরকারি সাহায্য পেলে উক্ত ফার্মটি বেকার সমস্যা নিরসনের পাশাপাশি অন্যান্য সকল উদ্যোক্ততা ও ফার্ম মালিকদের চেয়ে ভালো অবস্থানে থেকে একজন সফল উদ্যোক্ততা হিসেবে সুনাম অর্জনে সক্ষম হবেন। এক বিবৃতি তিনি বলেন-দেশে কর্মের অভাব নেই। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে স্বীয় প্রচেষ্টায় অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইচ্ছা শক্তি দৃঢ়তা থাকলে যে কোন কর্মকান্ডেই সফলতা অর্জন করা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন