নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর জংসন স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে ইন্তাজ আলী (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৭টা ৫০মিনিটের সময় আব্দুলপুর জংসন স্টেশনে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীগামী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনের কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইন্তাজ আলী পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর এলাকার অ্যাডভোকেট ইসাহাক আলীর ছেলে এবং সে আইন বিভাগের ছাত্র। রাজশাহীতে অধ্যায়নরত থাকলেও কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সে তা জানাতে পারেনি কেউ।
আব্দুলপুর স্টেশন মাস্টার ও প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি লালপুরের আব্দুলপুর জংসন স্টেশনে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে এসে থামে। এসময় ট্রেনের যাত্রি ইন্তাজ আলী ট্রেন থেকে প্লাটফরমে নামে। পরে ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে ইন্তাজ চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। ইন্তাজ আলী ওই ট্রেনে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। তার সাথে ওই ট্রেনে তার পিতা অ্যাডভোকেট ইসাহাক আলীও ছিলেন। ছেলের হঠাৎ মৃত্যুতে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন পিতা। দীর্ঘক্ষণ তিনি তার ছেলের লাশের পাশে বাকরুদ্ধ অবস্থায় বসে ছিলেন।
আব্দুলপুর রেল স্টেশন মাস্টার শেখ জিয়াউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা রেললাইনের ওপর থেকে লাশটি সরিয়ে রেখেছে। ঘটনাটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন