শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বাঁশের সাঁকোতে শেষ রক্ষা হলো না

হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ

নুরুল আবছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৯ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কেয়াঘর-রুদুরা সড়কের উম্মত আরা সেতুটি ভেঙে পড়েছে বহু বছর আগে। এতে করে দুই ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাগবে স্থানীয়রা একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারের ব্যবস্থা করে। গত পূর্ণিমার জোয়ারে সেই বাঁশের সাঁকোটিও অর্ধেক ভেঙে নিয়ে যায়। ফলে দুই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ চরমে। উপজেলা সদরের পাশ ঘেঁষে ৮নং চাতরী ইউনিয়ন। উপজেলা কমপেপ্লক্সের সাথে লাগানো ইছামতি নদী পার হলে চাতরী ইউনিয়নের সীমানা শুরু। একটি সেতুর কারণে কেঁয়াঘড়, সিংহরা ও চাতরীর জনগণ বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আনোয়ারা সরকারি কলেজ, আনোয়ারা সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও আনোয়ারা বালিকা বিদ্যালয়, আনোয়ারা সদর এবং আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে হচ্ছে চাতরী বাজার, কালাবিবির দিঘী, শোলকাটা ও সিংহরা হয়ে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার ঘুরে। ফলে সময়ের অপচয় আর যাতায়াত ব্যয়ও বাড়ছে।
প্রায় দেড় যুগ আগে কেঁয়াঘর মধ্যপাড়া সমবায় সমিতির অর্থায়নে উম্মত আরা সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে খালের জোয়ার ভাটার পানি উঠা নামায় সেতুটির দু’পাশ ভেঙে মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেতুর দু’পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে কিছু দিন চলাচল করলেও জোয়ারের পানিতে সাঁকোটি ভেঙে পড়লে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দুই পারের মানুষের।
চাতরী ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল জানান, সেতু নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ-এর নিকট জানানো হয়েছে। মন্ত্রী দ্রæত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণের আশ^াস প্রদান করেছে এবং তার নির্দেশে সেখানে পারাপারের জন্য বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হবে। ১৩০ ফুট সেতুটি নির্মিত হলে এলাকার জনগণ খুবই উপকৃত হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান জানান, ভ‚মিমন্ত্রী ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেতুটি নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করে সেতু অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন