রংপুরের পীরগাছায় ভাবির লাঠির আঘাতে রওশন আলম (৩০) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বড়ভাই রতন মিয়া ও তার স্ত্রী আরেফা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রওশন আলম ওই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানা যায়, রওশন আলমের বড়ভাই রতন মিয়ার স্ত্রী আরেফা খাতুনের সঙ্গে তার ভগ্নিপতির পরকীয়া চলে আসছে। এরই একপর্যায়ে গত সপ্তাহে বড়ভাই বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভাবির সঙ্গে ভগ্নিপতিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে রওশন। পরে বিষয়টি বড়ভাইসহ পরিবারের লোকজনকে জানায়। এদিকে বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে দেবর রওশনের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অপবাদ দেন ভাবি। এতে ক্ষোভে ও অভিমানে গত মঙ্গলবার বিষপান করে রওশন আলম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল দুপুরে হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে বড়ভাই ও বাবা। এসময় ভ্যান থেকে রওশনকে নামিয়ে স্ত্রীর হাতে লাঠি তুলে দেয় বড় ভাই রতন মিয়া। লাঠি হাতে পেয়ে দেবর রওশনকে এলোপাতারি মারপিট করেন আরেফা খাতুন। এতে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে ঘটনাস্থলেই রওশন আলমের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে পীরগাছা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ভাবি আরেফা খাতুন ও ভাই রতন মিয়াকে আটক করা হয়। পীরগাছা থানার এসআই আব্দুল মালেক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভাই রতন মিয়া ও ভাবি আরেফা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন