শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

দেওয়ানগঞ্জের ঘরে ঘরে বাড়ছে চোখ উঠা রোগ

মো. শামছুল হুদা, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০৬ এএম

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ঘরে ঘরে চোখ উঠা রোগের সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ আক্রান্ত। অথচ প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে মাত্র বিশ থেকে ত্রিশ জন রোগী। চোখ ওঠা রোগের ইংরেজি নাম কনজাঙ্কটিভাইটিস। এটি ভাইরাস জনিত রোগ। এডিনো ভাইরাস, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসসহ স্কেলেরাল ইনফেকশন, ইউভিয়াল টিস্যু ইনফেকশনই রোগের মূল কারণ। এ ধরনের ইনফেকশন প্রথমে এক চোখে আক্রান্ত করে পরবর্তীতে অন্য চোখ আক্রান্ত হয়। এতে চোখের পাতা ফুলে যায়, চোখ জ¦ালা পোড়া করে, চোখ থেকে পানি পড়ে, চোখ থেকে সবুজাভ হলুদ রঙের ময়লা জাতীয় পদার্থ বের হয়। ঘুম থেকে উঠার পর দুই চোখের পাতা লেগে থাকে। এটি ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের এক সদস্যের হলে বাকি সদস্যরাও আক্রান্ত হয়।

তিলকপুর গ্রামের মো. ফজলুল হক জানান, তার পরিবারে চার সদস্য। প্রথমে তার বড় ছেলে মাহাদির চোখ উঠে। তারপর বাকি সবার চোখ উঠে। তিনি আরও জানান, আমাদের এলাকায় প্রায় সবার চোখ উঠেছে। সরেজমিনে দেওয়ানগঞ্জ স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষ কালো চশমা পরে আছে। কারণ প্রত্যেকেই চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও উপজেলার নির্বাহী এলাকা, গুজিমারি, চিকাজানি, বাজারি পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণ হারে কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রমণ করেছে। দেওয়ানগঞ্জের ইতিহাসে পূর্বে এতো চোখ উঠা রোগী দেখা যায়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চোখ উঠা রোগের চিকিৎসা নিতে প্রতিদিন হাসপাতালে বিশ থেকে ত্রিশ জন রোগী আসে। অথচ অসংখ্য রোগী উপজেলা জুড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণ সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, একজন যে ঔষধ খেয়ে ভালো হয়, সেই ওষধ কিনে অন্যরা সেবন করে। রোগ সের যায়। তাই বেশির ভাগ লোক চিকিৎসার জন্য ফার্মেসি নির্ভর। যাদের রোগের উপক্রম বেশি হয় তারাই কেবল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আরএমও ডা. বিপুল মিয়া জানান, চোখ উঠা ভাইরাস জনিত রোগ। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে রোগ সেরে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন