হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নে (১৪) এক কিশোরীকে ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ ও সেই ভিডিও দেখিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নূর আলম রাব্বির (২২) এর ভাই নূর হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সহযোগিতা করায় এ মামলায় আসামি করা হয়েছে অভিযুক্তের ভাবী রাশেদা আক্তারকেও (২৪)।
মঙ্গলবার কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নূল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের পরিবার গরীব হওয়ায় কিছু আর্থিক সহায়তার জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশেদা আক্তারের ছোট সন্তানদের দেখাশোনার জন্য নূর আলমের বাড়িতে তাকে কাজে দেওয়া হয়। ওই বাড়িতে থাকার সুবাদে রাশেদার দেবর নূর আলম রাব্বি ওই গৃহকর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের কক্ষে নিয়ে গিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ধর্ষণ করে। এসময় রাব্বি কৌশলে নিজের মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে এ ভিডিও দেখিয়ে একাধিকবার জোর পূর্বক ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় রাব্বি। কয়েকদিন আগে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে রাব্বির এ কাজে তার ভাবী সহযোগিতা করতো।
হাতিয়া থানার ওসি মো. আমির হোসেন বলেন, ভুক্তভোগি বাদি হয়ে ৩জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিকে সহযোগিতাকারী একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন