গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ঘুষ নিয়ে দুর্গাপূজা মন্ডপে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন দলনেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের দলনেতা নীরোদ মজুমদারের বিরুদ্ধে ৮০ জন আনসার সদস্যের কাছ থেকে ৫শ’ থেকে ১ হাজার করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ঘুষ নিয়েও এক নারীকে দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়ায় দলনেতার সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটেছে।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ২৩৩টি পূজামন্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ১ হাজার ৫৩৪ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এরমধ্যে উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের ১৪টি পূজামন্ডপে দলনেতা নীরোদ মজুমদারের নেতৃত্বে ৮০ জন্য আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের প্রত্যেকের কাছ ওই দলনেতা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য অফিসের কথা বলে ৫শ’ থেকে ১ হাজার করে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের। এভাবে গরিব মানুষের কষ্টার্জিত টাকায় ভাগ বসিয়েছেন ওই দলনেতা। আনসার সদস্যের দায়িত্ব পাওয়া উপজেলার জোতকুরা গ্রামের গৌরাঙ্গ মিস্ত্রী বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী মঞ্জু মিস্ত্রী এবং ছেলে ইন্দ্রজিত মিস্ত্রী তিনজনে পূজামন্ডপে আনসার সদস্যের দায়িত্ব পেয়েছি। আর এ জন্য বেথুড়ী ইউনিয়নের আনসার ভিডিপির দলনেতা নীরোদ মজুমদারকে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। নীরোদ মজুমদারকে টাকা না দিলে দায়িত্ব পাওয়া যায় না। তার মাধ্যমে অফিসে টাকা দিয়ে তালিকায় নাম লিখতে হয়।’
এমনই অভিযোগ উঠেছে ফুকরা গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা মহিলা কমান্ডার নাসরিন বেগমের বিরুদ্ধে। তিনিও টাকার বিনিময় ১৫ জন আনসার সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন। তাদেরও প্রত্যেকের কাছ থেকে একইভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে বেথুড়ী ইউনিয়ন দলনেতা নীরোদ মজুমদার টাকা লেনদেনের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা নেয়নি। গৌরাঙ্গের মাথায় সমস্যা আছে। তাই সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
তবে নাসরিন বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কাশিয়ানী উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শম্পা পারভিন বলেন, ‘আমিও তাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন