রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আনোয়ারায় ছাড়িয়েছে আমনের লক্ষ্যমাত্রা

নতুন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাজুড়ে কৃষকদের স্বপ্নের সোনালি ধান কাটার ধুম পড়েছে। কৃষক পরিবারে এখন চলছে নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসব। ইতেমধ্যে শুরু হয়েছে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ধান মাড়াই। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তবে দাম নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা।
আনোয়ারা থেকে সংবাদদাতা জানান, এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। তারমধ্যে বৈরাগ ইউনিয়নে ৬৫০ হেক্টর, বারশত ইউনিয়নে ৬৮০ হেক্টর, রায়পুর ইউনিয়নে ২৩০ হেক্টর, বটতলী ইউনিয়নে ৭৯০ হেক্টর,বরুমচড়া ইউনিয়নে ৭৬৫ হেক্টর, বারখাইন ইউনিয়নে ১ হাজার ১০ হেক্টর, আনোয়ারা সদর ইউনিয়নে ৩৮০ হেক্টর, চাতরী ইউনিয়নে ৫৫৫ হেক্টর, পরৈকোড়া ইউনিয়নে ৩৩০ হেক্টর, হাইলধর ইউনিয়নে ৮৫০ হেক্টর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নে ৪৬০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গোটা উপজেলার মাঠে মাঠে সোনালি ধানের শীষ উকি দিচ্ছে। স্বপ্নের সেই ধান কাটার যেন উৎসব চলছে। কৃষকরা ধান কাটছেন আর মনের সুখে গান গাইছেন। দেখে মনে হয় তারা যেন এই দিনটিরই অপেক্ষায় ছিলেন। কৃষাণীদের মধ্যেও আনন্দের কোনো কমতি নেই। উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের আইরমঙ্গল গ্রামের কৃষক আহমদ ছফা জানান, এ বছর ফলন ভালোই হয়েছে।
তিনি দুই কানি (৮০ শতক) জমিতে চাষ করে ১৪০ আড়ি (৩৫মণ) ধান পেয়েছেন। সার, কীটনাশক, মজুরিসহ চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকার বেশি। জুঁইদন্ডী গ্রামের কৃষক মো: আবছার জানান,জমিতে লাঙ্গল দেওয়া, আইলবান্ধা, বীজ, সার, ধান কাটা, মাড়াই ও মজুরি বাবদ প্রতি কানিতে খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকার বেশি। তাই খরচ ওঠানো নিয়েই তার দুশ্চিন্তা।
উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের চাষি মঈনুদ্দিন বলেন, পরিমাণমতো বৃষ্টির পাশাপাশি রোগবালাই, পোকামাকড় তেমন না থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় নাডার কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এখনো সব জমির ধান কাটা হয়নি। ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন চাষিরা। এবার ব্রি ধান ৩২, ব্রি ধান ৩৯, ব্রি ধান ৪৯ ও ব্রি ধান ৫২ চাষাবাদ হয়েছে। তারমধ্যে ব্রি ধান ৩৯ ও ব্রি ধান ৪৯ থেকে সবচেয়ে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে।
উপজেলার জুঁইদন্ডী এলাকার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব চৌধুরী বলেন, এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে চাল উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। তবে প্রদর্শনী প্লটগুলোতে তার দ্বিগুন ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বটতলী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা জনি কুমার দত্ত বলেন, এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এ উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: একরাম উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের ফলন ভালো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন