শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বৈরী আবহাওয়ায় আমন ধানে রোগ-বালাই

দিশেহারা কলারোয়ার কৃষক

আব্দুল হামিদ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বৈরী আবহাওয়ায় প্রতিকূল পরিবেশে কলারোয়ার মাঠে মাঠে আমন ধানে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ। আমন চাষে একের পর এক বাড়তি খরচ যোগাতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়ায় চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৯শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের অভাবে সেচ খরচ যোগায়ে এবং সারের বাড়তি দাম সামাল দিতে যেয়ে আমন ধানের আবাদ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কৃষকরা জানায়। কিন্তু আমন ধান রোপনের পরে মাটি ফেটে যাওয়ায় উঁচু জমিতে স্থান বিশেষে চার বার পর্যন্ত সেচ দিতে হয়েছে। আর বৃষ্টিপাতের অভাবে মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় ধানক্ষেতে ব্যাপকভাবে ঘাসসহ আগাছা জন্মায়। বাড়তি খরচ করে নিড়ানী দিয়ে সেই আগাছা পরিস্কারের পরে টপড্রেসিংয়ে নামে কৃষক। টপড্রেসিং শেষে ধানক্ষেতে কোথাও ব্লাস্ট, কোথাও কারেণ্ট পোকা (বাদামি ফড়িং) কোথাও পচন রোগের প্রার্দুভাব ঘটেছে। এতে ধানের পাতায় পোড়া দাগ সৃষ্টি শুরু হয়। কোন ক্ষেতে গোড়ার পাতা শুকানো শুরু করে। কোন কোন ক্ষেতে গোড়ার পাতায় পচন শুরু হয়। কখনো ঠাণ্ডা, কখনো ভেপসা গরমের বৈরি আবহাওয়ায় দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সোনাবাড়িয়ার কৃষক মাহিদ ১ বিঘা এবং আরাপ আলীর ১.৬ বিঘা জমিতে পচন ও কারেণ্ট পোকার আক্রমণ রোধে কয়েকবার কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়েছে বলে জানায়। নীলকণ্ঠপুর গ্রামের ইমান আলীর পুত্র মনিরুজামানের ৩ বিঘা জমিতে ছত্রাক ও কীটনাশক দিয়ে ব্লাস্টের আক্রমণ ঠেকাতে হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। এছাড়া হেলাতলা গ্রামের ডা. নজরুল ইসলাম, চালা গ্রামের ডা. আলাঊদ্দীন, তুলসীডাঙ্গা গ্রামের মৃত লতিফের পুত্র সিরাজুলের ধানে লিফ ব্লাস্টের আক্রমণ হয়েছে বলে জানায়। জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সংসার ও দৈনন্দিন খরচ বেড়ে গেছে। তার ওপর বাড়তি সেচ, সার ও নিড়ানী খরচের পরে রোগ বালাই দমণের খরচ যোগাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে-বলে এসব কৃষক জানায়।

লাউডুবি ইউছোপের মোড়ের কীটনাশক ব্যবসায়ী আরিজুল ও পলাশ জানান, প্রতিদিন ১০/১৫ চাষি ধানের পচন, মাজরা ও কারেণ্ট পোকার ওষুধ নিয়ে যাচ্ছে। দেয়াড়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী শেখ বলেন, প্রতিদিন কিছু চাষি ব্লাস্ট রোগের ছত্রাকনাশক নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বায়ার কোম্পানির প্রতিনিধি আ. মজিদ বিভিন্ন মাঠে আমন ধানে ব্লাস্ট ও পচন রোগের প্রার্দুভাবের কথা জানায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। ছত্রাকনাশক স্প্রে করায় রোগ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা রোগ দমণে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন