২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে ভারতে। বিভিন্ন জরিপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হলেও সাধারণ নির্বাচনের আগে ১১ রাজ্যে নিজেদের শক্তিপরীক্ষা দিতে হবে দলটিকে। এই ১১টির মধ্যে ৫টিতে বিজেপি এবং দুটিতে কংগ্রেস সরকার চালাচ্ছে।
চলতি বছরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মোদি-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে। বিভিন্ন জরিপ অনুসারে, গুজরাটে বিজেপির পাল্লা ভারী থাকলেও হিমাচলে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উৎসব পালনে বেছে নেন হিমাচলকেই। ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১১টি রাজ্যের ভোট থেকেই ইঙ্গিত মিলতে পারে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল। তাই সব দলের কাছেই এই নির্বাচনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস অবশ্য নির্বাচনের আগেই ভাঙন আর দলীয় কোন্দলে জেরবার।
গুজরাট ও হিমাচল বিধানসভার গত নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল কংগ্রেস ও বিজেপির। ১৮২টি কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি ৯৯ এবং কংগ্রেস জেতে ৭৭ আসনে। কিন্তু দলবদলের জেরে বিজেপি এখন ১১১ এবং কংগ্রেস ৬৩। ৬৮ কেন্দ্রের হিমাচলেও ৪৪ থেকে বেড়ে বিজেপি এখন ৪৭ এবং কংগ্রেস ২১ থেকে কমে ২০। তাই কংগ্রেস জিতলেও বিধায়কদের ধরে রাখতে পারবে কিনা সে প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র।
আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে। মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে বিজেপির মিত্র দলগুলো সরকার থাকলেও ত্রিপুরায় শাসকদল বিজেপিই। কিন্তু বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল ও দলের ভাঙন চিন্তায় রেখেছে দলীয় নেতৃত্বকে।
কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন হবে মে মাসে। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন নির্বাচনে কংগ্রেস ভালো ফল করায় বিজেপি বেশ চিন্তিত। তাদের ভরসা ধর্মীয় বিভাজন। তাই হিজাব থেকে শুরু করে সেখানে বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এদিকে, সামনের বছর নিয়ে এখন থেকেই চিন্তিত কংগ্রেস। কারণ কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে নির্বাচন সেই বছর। মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার ভোটও একই বছরে। তেলেঙ্গানায় আঞ্চলিক দল ক্ষমতায়। গত নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জিতলেও দলবদলের কারণে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তাই মধ্যপ্রদেশ নিয়ে চিন্তিত বিজেপি ও।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন থেকে বাড়তি অক্সিজেন কংগ্রেস পায় কিনা সেটাও দেখার। তবে গতবার লোকসভা ভোটের আগে ৪টার মধ্যে তিনটি জিতেও কংগ্রেস সুবিধা করতে পারেনি। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে হওয়া অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ওডিশা, সিকিম ও মিজোরামের মধ্যে অরুণাচল বাদে বাকি ৪ রাজ্যেই বিজেপি ও কংগ্রেসকে হারিয়ে আঞ্চলিক দল ক্ষমতা দখল করে। লোকসভা ও ১৬ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কারণে ভারতে এখন থেকেই রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন