ক’দিন আগে দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তারপর বিজেপির অনেক নেতা-মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই পুরনো সংলাপ ফের হাওয়ায় ভাসিয়ে দিতে শুরু করেছিলেন- ‘না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা’! কিন্তু গতকাল শুক্রবার বিজেপিরই এক বিধায়কের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হল কোটি কোটি টাকা। তবে সেই টাকা উদ্ধারের নেপথ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা সিবিআই নেই। কর্নাটকের লোকায়ুক্তর দুর্নীতি দমন শাখা হানা দিয়ে ওই টাকা উদ্ধার করেছে। মাদল বীরুপাক্ষ নামে ওই বিজেপি বিধায়কের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। ১.৭৫ কোটি টাকা পাওয়া গেছে তার ছেলের অফিস থেকে। যিনি আবার পেশায় সরকারি আমলা। কর্নাটকের দেবাঙ্গিরি জেলার চান্নাগিরি কেন্দ্রের বিধায়ক হলেন মাদল। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কর্নাটক সোপস অ্যান্ড ডিটার্জেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তিনি। এ কারখানাতেই তৈরি হয় বিখ্যাত মাইশোর স্যান্ডেল সাবান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় এই কেএসডিএলের অফিসে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময়ে বীরুপাক্ষর ছেলে প্রশান্ত মাদলকে হাতে নাতে পাকড়াও করেন লোকায়ুক্ত কর্তারা। তার এ ছেলে আবার বেঙ্গালুরু পানি সরবরাহ দফতরের অ্যাকাউন্ট্যান্ট। জানা গেছে, সাবানের কাঁচামাল কেনার ব্যাপারে ৮১ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন প্রশান্ত মাদল। কর্নাটকে এ বছরের শেষেই বিধানসভা ভোট। তার আগে দলীয় বিধায়কের বাড়ি থেকে এরকম টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে গেছে গেরুয়া শিবির। টাকা উদ্ধারের পর ওই বিজেপি বিধায়ক গতকাল শুক্রবার চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে চিঠি দিয়ে তিনি দাবি করেছেন যে, তার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লোকায়ুক্ত হল স্বাধীন সংস্থা। সরকারের অধীনস্ত নয়। স্বাভাবিক ভাবেই এ ঘটনা নিয়ে কর্নাটকের বিজেপি সরকারকে বেআব্রæ করতে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেছে যে, এ মামলা চাপা দেয়ার চেষ্টা হতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, লোকায়ুক্ত স্বাধীন ভাবেই তদন্ত করবে। সরকার তাতে নাক গলাবে না। সূত্র : দ্য ওয়াল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন