কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কালাডুমুর নদীর সেতুর মাঝখানে দু’টি পিলার ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল। গত বুধবার বিকালে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় বিকট শব্দে সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এ ছাড়া সেতুর একটি অংশ বাল্কহেডের ওপর পড়ে। এর ফলে কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ছবিসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর এলজিইডি কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। এরপর কালাডুমুর নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি উপজেলা প্রশাসন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেতুর ওপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল না করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি আকারে উভয় পাশে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। এছাড়া সেতুর নিচ দিয়েও মালামাল বহনকারী ট্রলার, ছোট-বড় বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপরও কিছু অসাধু বালু ও ইট ব্যবসায়ী আইনের তোয়াক্কা না করে সেতুর নিচ দিয়ে বাল্কহেড চলাচলের মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সেতুটি ভেঙে পড়েছে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে বিকল্প রাস্তা না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ হেঁটে চলাচল করত। সেতুটি ভেঙে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ওই এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এই ব্যাপারে গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান শুভ বলেন, আমরা প্রতিদিন স্কুলে আশা যাওয়া করতে আমাদের অনেক অসুবিধা হয়। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি, জানাচ্ছি চলাচলের জন্য দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা চালু করা এবং নতুন সেতু নির্মাণ করা হোক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন