শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

টিআর প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে

প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

লোহাগড়া (নড়াইল) উপজেলা সংবাদদাতা : লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ১৫টি টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার শালনগর ইউনিয়নে ১৫টি প্রকল্পে নগদ ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ৪০ হাজার টাকা করে প্রতিটি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল। কাজ শেষের মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন। এর মধ্যে মাকড়াইল গ্রামে রয়েছে আটটি প্রকল্প যথাক্রমে লে. মতিউর রহমান স্মৃতিফলক সংস্কার, মাকড়াইল শহীদ আ. রাজ্জাক মোল্যার স্মৃতিফলক সংস্কার, মাকড়াইল নতুন বাজার জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল পুরাতন জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল হাজীপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার ও মাকড়াইল নূরানী মাদ্রাসা সংস্কার এবং বাতাসী গ্রামের চারটি প্রকল্প যথাক্রমে শেখপাড়া বাতাসী এবতেদায়ী মাদ্রাসা সংস্কার, বাতাসী পূর্বপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার, শেখপাড়া বাতাসী ঈদগাহ ময়দান মাটি দ্বারা সংস্কার ও শেখপাড়া বাতাসী খেলার মাঠ মাটি দ্বারা সংস্কার।
মাকড়াইলের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির তিনটির সভাপতি ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, দুটির সভাপতি তার ভাই জাকারিয়া এবং অন্য তিনটির সভাপতি এনায়েত মেম্বর। আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এসব প্রকল্প তদবির করে বরাদ্দ করিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান লাবু মিয়া। এর আমি কিছুই জানি না।’ বাতাসী গ্রামের প্রায় সবকয়টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য সাজ্জাদুল ইসলাম মাকড়াইল মধ্যপাড়া জামে মসজিদের পৃষ্ঠপোষক বাদশা মোল্লা, পুরাতন জামে মসজিদ ও নূরানী মাদ্রাসার সভাপতি আলাউদ্দীন শিকদার এবং হাজীপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি শাহাদত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আটটি প্রকল্পের পুরো বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এদিকে বাতাসী গ্রামের প্রকল্পগুলি গত বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে কোন প্রকল্পেই কাজ হয়নি। বাতাসীর চারটি প্রকল্পেরই পার্শ¦বর্তী বাসিন্দা ও মসজিদ, মাদ্রাসার সুপার আহাদুজ্জামানসহ এলাকাবাসীরা জানান যে তারা শুনেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ এসেছে কিন্তু এখনো কোন টাকা তারা পাননি বা কোন ধরনের কাজও হয়নি। ইউপি সদস্য সাজ্জাদুল ইসলাম তাদের জানিয়েছেন চেয়ারম্যান লাবু মিয়া প্রকল্পগুলি তদবির করে এনেছেন, উনি পরবর্তীতে তাদের কিছু টাকা দিবেন। এ প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দের খবর গত ১০-১২দিন আগে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসী জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পুরো এলাকায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এরপর সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা ইউএনও ও পিআইওর কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। ইউএনও তাদেরকে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করার পরমর্শ দেন। এরপর তারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাবু মিয়া জানান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচ হাজার করে টাকা দিতে চেয়েছি, কিন্তু তারা নিচ্ছে না। ইউএনও মো. সেলিম রেজা বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে জেলা প্রশাসককে জানাবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন