রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী এলাকায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছেনা কিছুতেই। নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে বাজার, মসজিদ ও ফসলি জমি। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ভাঙনে মধ্যে বেতাগী এলাকার প্রাচীনকালের গোলাম বেপারীহাটটি ইতোমধ্যে বহু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। ফলে এখন আর বাজার বসে না। ভেঙেছে মসজিদ, দোকান, রাস্তা, নদী পারের ঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে মানুষ পড়েছে চরম বিপাক্ষে। দিনের পর দিন ভাঙছে ফসলি জমি। এখনকার বাসিন্ধা প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এক সময় বিশাল বাজার রাস্তা-ঘাট নদীর পারে ফসলি জমি ছিল এখানে নানা রকম সবজি চাষাবাদ হতো। এখন আর কিচ্ছুই নেই। সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নেই দোকান আর নদী পারাপারের ঘাট। সব নদীতে চলে গেছে।
দরবার-এ বেতাগী আস্তানা শরীফের পীরজাদা ও হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ নদীর অব্যাহত ভাঙনে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে কর্ণফুলীর ভাঙন চলছে তা রোধ করা না গেলে মধ্যে বেতাগী গ্রামের মানুষ খুব বেশি ক্ষতির মুখে পরবেন। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যার যার অবস্থান থেকে ভুমিকা রাখতে আহবান জানান।
নদী ভাঙন নিয়ে বেতাগী ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম বলেন, নদী ভাঙন রোধে ইতোপূর্বে পাথরের ব্লক বসানো হয়েছিল, ভাঙন তীব্র হওয়ায় ব্লক সরে যাচ্ছে। ফলে ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে এই এলাকার ভাঙন ঠেকাতে বহুদিন ধরে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন