রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

গাইবান্ধা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের শিক্ষকদের কর্মবিরতি

কো-অর্ডিনেটরের হাতে প্রশিক্ষক লাঞ্ছিত

| প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এ এম খালেদ কর্তৃক সিনিয়র প্রশিক্ষক গোলাম মোস্তাফিজুর রহমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে  যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছে। গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে সিনিয়র প্রশিক্ষক গোলাম মোস্তাফিজুর রহমান অফিস রুম থেকে ক্লাস রুমে যাওয়ার পথে অফিস বারান্দায় ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এ এম খালেদ উক্ত সিনিয়র প্রশিক্ষকে পথ রোধ করে গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে চরথাপ্পড় মারেন এবং তাকে গলা ধাক্কা দেন। এই ঘটনায় যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সকলেই হতভম্ভ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রশাসনসহ প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনাটির বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করা হয়েছে। ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এ এম খালেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও অপসারণের দাবিতে সকল যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষকরা মহাপরিচালকের কাছে আবেদন জানিয়েছে। উল্লেখ্য, গাইবান্ধা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এ এম খালেদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে বিজিএমইর লিংকিং এর প্রশিক্ষণের ছাত্রদের নামে ভুয়া বিল করে টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে তদন্ত কমিটির নিকট আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দেন এবং মুসলিকা দিয়ে চাকরি ফেরত পান। এ দিকে ২৮/০১/২০১৫ বিজিএমইর নিটিং ও লিংকিং এর প্রশিক্ষণের ছাত্রদের ব্যয় বরাদ্দের ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অফিস সহকারীর নিকট থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন। পরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক কর্তৃক ডেপুটি কো-অর্ডিনেটরের নিকট থেকে  উক্ত টাকা ফেরত নেন। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে ইনকিলাবসহ বিষয়টি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন