দৈনিক সমকালের লৌহজং প্রতিনিধি ও লৌহজং প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান ঝিলুর উপর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাদকব্যবসায়ী ও জুয়াড়ি সুমন মাদবর গংদের হামলা ও হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে লৌহজং প্রেস ক্লাব।
আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার ঘোড়দৌড় বাজারের দৌলতখান কমপ্লেক্সের লৌহজং প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করে সাংবাদিকরা।
লৌহজং প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক ইনকিলাবের লৌহজং উপজেলা সংবাদদাতা মো. শওকত হোসেন নেতৃত্বে উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লৌহজং প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ওয়াসিম ফারুক, সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম রাকিব, সহ-সম্পাদক রমজান হোসাইন রকি, সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. মানিক মিয়া, বিডিসি ক্রাইম নিউজের সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ন-সম্পাদক পলাশ কুমার দে, সাংস্কৃতি কর্মী জাকির মৃধা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লৌহজং প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সাইম, প্রচার প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নবীন, কার্যনির্বাহী সদস্য ফাহিম হোসেন মুন্না, পিংকি রহমান, সামাদ হাওলাদার, মো. জাহিদ হাসান ও মতিউর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা মঙ্গলবার ভোরে পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশ প্রধান আসামীকে শ্রীনগর উপজেলার হাসড়া থেকে গ্রেফতার করায় মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইনকে ধন্যবাদ জানান। সে সাথে অন্যান্য আসামীদের অবিলম্বে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য: গত ৯ অক্টোবর লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে মাদকের ব্যবসা, জুয়া খেলা এবং ঘাটে আসা দর্শনার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদ করায় দৈনিক সমকালের লৌহজং প্রতিনিধি ও লৌহজং প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান ঝিলুর উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক ঝিলুর ক্যামেরা কেড়ে নেয় এবং আওয়ামী লীগ নেতা মতি মাতবরের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমন মাদবর ও শামীম দলবল নিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ঝিলুকে লঞ্চ ঘাটের ঘাটের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে এবং বলতে থাকে ওকে (ঝিলু) আজ মেরে লঞ্চ থেকে ওর লাশ নদীতে ফেলে দিব। এ সময় ঝিলুর আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন