শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

গাঁজার মিথ্যা মামলা : ফাঁসছেন বহু নিরপরাধ

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০২ এএম

নিরপরাধ ব্যক্তিদের মামলা দিয়ে ফাঁসানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘মাদক’ হিসেবে চিহ্নিত মারিজোয়ানা বা গাঁজা। কারো কাছে গাঁজা পাওয়া গেলে ‘অনুমান’, ‘বিশ্বাস’ আর ‘সন্দেহ’র ভিত্তিতেই ঠুঁকে দেয়া হচ্ছে মামলা। ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন’-এ বার বার সংশোধনী আনা হলেও মাদকের মিথ্যা মামলার সুরাহা নেই। মাদকের নীল ছোবলে তরুণ সমাজ সর্বনাশের পথে চলছে। যা ঠেকাতে ব্যর্থ বিদ্যমান আইন। পক্ষান্তরে মাদকের কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে দুর্বিষহ করে তোলা হচ্ছে নিরপরাধ মানুষের জীবন।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’র জরিপ মতে, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ। মাদকের বিস্তার এবং আসক্তির সংখ্যা এই ক্রমঃবৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা দায়ী করছেন মাদক আইনের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রয়োগ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্নীতি। তাদের মতে, মাদক আইন যতটা না মাদক নির্মূলে ব্যবহৃত হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে মানুষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে। ‘উদ্ধার’ নাটক মঞ্চস্থ করে চলে মাদক নির্মূলের ফলাও প্রচার। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একতরফা প্রচারনার তোড়ে ভেসে যায় প্রকৃত ঘটনা। পকেটে কয়েক পুরিয়া গাঁজা ঢুকিয়ে পথচারির কাছ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘গাঁজা উদ্ধার‘র খবর প্রায়ই সংবাদ শিরোনাম হয়। অথচ কারো কাছে প্রায় গাঁজার চেয়েও ক্ষতিকর সিগারেট, তামাক, জর্দ্দা, গুল পাওয়াকে কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না। গাঁজা সেবন, বহন এবং সরবরাহ আইনত দÐনীয়। যদিও অ্যালকোহল বা মদ খাওয়া আইনত নিষিদ্ধ নয়।

গাঁজা মাদক না ওষুধ? :
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মারিজোয়ানা বা গাঁজা মাদকদ্রব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, অ্যালকোহল ব্যতীত অন্যান্য মাদক দ্রব্যের উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহার হয় এমন কোনো দ্রব্য বা উদ্ভিদের চাষাবাদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন বা পরিবহন ও আমদানি-রফতানি করা যাবে না। এ আইন লঙ্ঘনের শাস্তির বিশদ বিবরণ রয়েছে ৩৬ ধারায়। বলা হয়েছে, কোথাও পপি ফল বা পপির অঙ্কুরোদদ্গম বীজ পাওয়া গেলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। গাঁজা বা ভাং গাছের শাখা-প্রশাখা, পাতা, ফুল ইত্যাদির দ্বারা তৈরি মাদকের পরিমাণ ৫ কেজি বা তার কম হলে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের কারাদÐ ও অর্থদÐ, মাদকের পরিমাণ ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজির মধ্যে হলে ৫ থেকে ৭ বছরের কারাদÐ ও অর্থদÐ এবং মাদকের পরিমাণ ১৫ কেজির বেশি হলে ৭ থেকে ১০ বছরের কারাদÐ ও অর্থদÐ দেয়া যাবে। এভাবেই র্গাজাকে ‘মাদক’ আখ্যায়িত করে উৎপাদন নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গাঁজাকে নিছক নেশাজাতীয় দ্রব্য মানতে নারাজ। তাদের মতে, এটি ভেষজ উদ্ভিদ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে গাঁজার রয়েছে বিশেষ কদর। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, মারিজোয়ানা বা গাঁজা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিলে মৃগী বা কিছু স্নায়ুরোগ থেকে দূরে থাকা যায়। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘জার্নাল অব ফার্মাকোলজি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্স’ এ প্রকাশিত হয়েছে তাদের এই গবেষণালব্ধ তত্ত¡। ‘দ্য জার্নাল অব আলঝাইমারস ডিজিজ’ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিজোয়ানা মস্তিষ্কের দ্রæত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া রোধ করে। আর এভাবে আলঝাইমার ঝুঁকিও কমাতে পারে মারিজোয়ানা। তবে মারিজোয়ানা ‘ওষুধ’ হলেই রোগ সারাবে, কারো নিয়ন্ত্রণহীন আসক্তির পণ্য হলে নয়।
বদলাচ্ছে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি :
অনেক দেশেই আইনত: নিষিদ্ধ মারিজোয়ানা বা গাঁজার বিষয়ে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান গাঁজা উৎপাদন, বিপণন এবং সেবন নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন মনে করছে, গাঁজা একটি অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর পণ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি রাজ্যে গাঁজার ব্যবহার এখন বৈধ। বেশ কিছু জায়গায় গাঁজা ব্যবহার হয় চিকিৎসার জন্য। তবে কয়েকটি রাজ্যে এখনো সম্পূর্ণ অবৈধ এ মাদক। কোনো রাজ্যে প্রকাশ্যে বিক্রি হয় এ গাঁজা। কোথাও এ মাদক রাখার অপরাধে খাটতে হচ্ছে জেল। একই জিনিস নিয়ে বিপরীতধর্মী এই বিধির পরিবর্তন আনছে বাইডেন প্রশাসন। এরই মধ্যে গাঁজা রাখার দায়ে গ্রেফতার সাড়ে ৬ হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিনীদের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ শতাংশের বাড়িতে গাঁজা থাকে। দেশটির ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ৩৩টি দেশে ওষুধ হিসেবে গাঁজা এখন বৈধ।

দক্ষিণ কোরিয়ায় চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে। তবে সেটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। গাঁজা থেকে উৎপাদিত তেল বিক্রির ‘অপরাধে’ মালয়েশিয়ায় এক তরুণকে মৃত্যুদÐে দÐিত করার পর মুসলিম প্রধান এই দেশটিতে গাঁজার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারকে বৈধতা দেয়ার বিষয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। লেবানন গাঁজার ব্যবহারকে বৈধতা দেয়ার চিন্তা করছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যক্তিগতভাবে গাঁজার চাষকে বৈধতা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত। চিকিৎসার কাজে গাঁজার বৈধতা দেয়া প্রথম আফ্রিকান দেশ লেসোথো। চলতি বছর জুন মাসে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড গাঁজার চাষ এবং সব ধরনের ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এর ২ বছর আগে গাঁজার ব্যবহারে বৈধতা দেয় দেশটি। গাঁজা উৎপাদনে বৈধতা দেয়া প্রথম দেশ উরুগুয়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ মাল্টার পার্লামেন্ট গাঁজা চাষ এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারকে বৈধতা দিয়েছে গতবছর ১৪ ডিসেম্বর। লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডের মতো কয়েকটি দেশ একই নীতি অবলম্বনের চিন্তা করছে।

বাণিজ্যিক সম্ভাবনা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগেও বিভিন্ন দেশ মারিজোয়ানার ব্যবহার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এর ফলে মারিজোয়ানার আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে বেশ কিছু দেশ রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। আইনি দৃষ্টিভঙ্গিতে সংশোধনী এনে বাংলাদেশও এ সুযোগ নিতে পারে। কারণ গাঁজা উৎপাদনে বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহ্য এবং অভিজ্ঞতা। ১৯৭৪ সালের জেনেভা কনভেনশনে মাদকদ্রব্যবিরোধী চুক্তিতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে ১৯৯০ সালের মধ্যে গাঁজা চাষ বন্ধের শর্ত ছিল। যদিও শর্ত অনুসারে ১৯৮৭ সালেই তৎকালীন সরকার দেশে গাঁজা উৎপাদন নিষিদ্ধ করে।

তবে বর্তমান বিশ্বে গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ বা ‘ক্যানাবিসে’ তৈরি ওষুধের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেডিক্যাল ক্যানাবিসের চাহিদা জার্মানিতে অনেক বেড়েছে। ২০১৭ সালে জার্মানের মাদক আইন সংশোধনের ফলে বেড়েছে এর ব্যবহার। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এর ব্যবহার বেড়েছে ২৫ ভাগ। এ জাতীয় ওষুধের বাজারে ইউরোপের এক নম্বরে এখন জার্মানি। আন্তর্জাতিকভাবে এই ক্যানাবিস ওষুধের বাজার ২০২৫ সালের শেষ দিকে ১৪৬.৪ বিলিয়নে পৌঁছবে বলে ধারণা। ‘রিসার্স অ্যান্ড মার্কেটস ডটকম’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০-এর মধ্যে ক্যানাবিস ওষুধের মার্কেট ১৭৬ বিলিয়নে পৌঁছবে। বেশ কয়েকটি দেশ মারিজোয়ানা বৈধ করার পথে আইন আনার চিন্তা করছে। স্পেন, অস্ট্রেলিয়া গাঁজার বৈধ ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। ক্যানবেরায় ১৪ ঊর্ধ্বদের ৩৫ ভাগ গাঁজা সেবন করে। লুক্সেমবার্গ গাঁজার চাষ বৈধ করেছে গতবছর। ২০১৮ সালে ৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন কানাডিয়ান বৈধ ডিসপেনসারি থেকে গাঁজা কিনবে। এরই মধ্যে অন্তত ৪৯ লাখ কানাডীয় এটি গ্রহণ করছেন। ‘অ্যাবাকাস ডাটা’র সাম্প্রতিক একটি জরিপে বলা হয়, ৭০ শতাংশ কানাডীয় গাঁজা বৈধকরণের আইনটিতে সমর্থন দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভাষ্যমতে, ভবিষ্যতে শুধু কানাডাতে গাঁজার বাজারের মূল্যমান হবে ১০ হাজার কোটি ডলার।

আইনের অপপ্রয়োগে মিথ্যা মামলা :
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানায়, গত এক যুগে বিভিন্ন সংস্থা মাদক আইনে মামলা করেছে ৮ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩টি। গত এক দশকের পরিসংখ্যান টেনে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ৪৮ দশমিক ৪৫ ভাগ মাদকের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। খালাস পেয়েছেন ৫১ দশমিক ১৮ ভাগ মামলার আসামি। খালাসপ্রাপ্ত ৬০ ভাগ আসামিই গাঁজা সেবন, উৎপাদন, পরিবহণ, বিপণনের সঙ্গে জড়িত-মর্মে অভিযোগ করা হয়েছিলো। মাদকের মামলায় অনেক নিরপরাধীকে ফাঁসানো হচ্ছে।

তবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভ‚ঞা ইনকিলাবকে বলেন, নিরীহ মানুষকে ‘ভিকটিমাইজ’ করার বিষয়টি ব্যতিক্রম। দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায়ও নিরপরাধ পাটকল শ্রমিক জাহালম কারাভোগ করেছেন। তবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় এ বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।

সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে বলেন, পশ্চিমাদের মূল্যবোধ আর আমাদের মূল্যবোধের অনেক তফাৎ। ওরা গাঁজাকে বৈধতা দিলেও আমরা দিতে পারি কি-না সেটি ভাবনার বিষয়। মাদকের মামলায় গাঁজা দিয়ে নিরীহদের ফাঁসানোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের বিষয়। রাষ্ট্র আইনটিকে কিভাবে ব্যবহার করছেÑ সেটি আগে দেখতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
hassan ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১৭ পিএম says : 0
এরা আল্লাহকে ভুলে গেছে সেই জন্যই এরা যত ধরনের জঘন্যতম অপরাধ করছে এবং মানুষকে জঘন্যতম ভাবে কষ্ট দিচ্ছে মিথ্যা কেস দিয়ে শুধু গাঁজা না ইয়াবা দিয়েও কেস দেওয়া হয় প্রতিনিয়ত আল্লাহ এদেরকে ধ্বংস করুক এদেরকে ধ্বংস করো এদের উপরে গজব দাও
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

আমার এক নিকটাত্মীয় মদ-গাঁজা সেবন করত। স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময়মই ঝগড়া হতো, স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে অনেক সময় হাত তুলত। স্ত্রীও খুব বেশী একটা ছাড় দিত না। আবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য পুরুষের সাথে দীর্ঘ দিন রাতে-বিরাতে গোপন ফোনালাপের অভিযোগ ছিল। তাদের দুই ছেলে আছে। স্বামী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্টে ১৫-১৮ লাখ টাকার সম্পদ রেখেছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে সেগুলো হাত করে নেয় এবং নেশাখোর স্বামীর সংসার করবেনা বলে জানায়। এ অবস্থায় কয়েকটি ব্যর্থ আলোচনা বা বৈঠক হয়। প্রায় এক বছরের বেশী সময় পর স্ত্রী ওই স্বামীকে এক উকিলের মাধ্যমে ডাকযোগে ডিভোর্সলেটার পাঠায়। স্বামী বলে সে ওই লেটার রিসিভ ও সাইন করেনি। এর প্রায় এক বছর পর তার স্ত্রী ওই গোপন ফোনালাপের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই বিয়ে করে। প্রশ্ন হলো স্ত্রীর এ তালাক ও পরবর্তী বিয়ে ইসলামের বিধান মতে সঠিক ভাবে হয়েছে কি না? আর না হলে এখন করনীয় কি?

২১ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪৮ পিএম

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন