মানবিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে ৪০ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সউদী আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা এসপিএ নিউজ এজেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এসপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন সৌদি যুবরাজ। সেসময়ই ইউক্রেনে এই আর্থিক সহায়তা পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। সেইসঙ্গে বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধের তীব্রতা কমিয়ে আনা এবং কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা, তৎপরতার মাধ্যমে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যাবতীয় মতপার্থক্য দূর করতে নিজের ক্ষমতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে সৌদি আরব।’
জবাবে সউদী যুবরাজকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ পাওয়া উপলক্ষ্যে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন জেলেনস্কি। পাশাপাশি, জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় ধন্যবাদও জানান।
মোহাম্মদ বিন সালমান অবশ্য বলেছেন, সউদী আরব বরাবরই জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এ বিষয়ে দেশটির দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন ঘটেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজল্যুশনে ভোটদানের সময়।
পরে এক টুইটবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সউদী আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা হয়েছে। জাতিসংঘের রেজল্যুশনে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ।’
গত ৯ মাসের সামরিক অভিযানে ইউক্রেনের চার প্রদেশ খেরসন, ঝাপোরিজ্জিয়া, দনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হয় রুশ বাহিনী। এই চার প্রদেশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের ১৫ শতাংশ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর খেরসন, ঝাপোরিজ্জিয়া, দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনীকে আর আগ্রসর না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বুধবার রেজল্যুশন উত্থাপন করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। সেই রেজল্যুশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে সৌদি আরবসহ জাতিসংঘের ১৪২টি সদস্যরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মাসের অভিযানে এই প্রথম ইউক্রেনকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সউদী আরব। সূত্র: আল আরাবিয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন