সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ১৭৪৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর ৩০০ বছরে সউদী আরব যে ব্যয় করেছে, পরবর্তী দশ বছরে তার চেয়েও বেশি ব্যয় করবে। উচ্চাভিলাষী ভিশন-২০৩০ কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করার বিষয়ে ডি ফ্যাক্টো শাসকের এটি একটি সাহসী ঘোষণা।
গত মঙ্গলবার একটি অনলাইন সভায় বক্তৃতাকালে যুবরাজ বেসরকারী এবং সরকারী খাতের মধ্যে অংশীদারী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ কর্মসূচির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে স্থানীয় বেসরকারী খাতের পাঁচ ট্রিলিয়ন রিয়াল (১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগের জন্য তেল জায়ান্ট আরামকো এবং পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থা সাবিকের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হ’ল উপসাগরীয় দেশটির বেসরকারী ক্ষেত্রকে তেল রফতানির ওপর নির্ভরতা বন্ধ করতে অর্থনীতিকে সহায়তা করা। এগুলো এখনও দেশটির আয়ের অর্ধেকেরও বেশি অংশ। লাখ লাখ সউদী নাগরিকের কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তার জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র বিকাশই এ প্রক্রিয়ার লক্ষ্য।
প্রায় ২৭ ট্রিলিয়ন রিয়াল (৭.২ ট্রিলিয়ন ডলার) ওঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য কীভাবে অর্জন করা হবে তা ব্যাখ্যা করে বিন সালমান বলেন: ‘আমরা যখন পরের দশ বছরে ২৭ ট্রিলিয়ন সউদী রিয়ালের কথা বলি, তখন আমাদের এই কঠিন ব্যবস্থা রয়েছে। পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) থেকে তিন ট্রিলিয়ন, আমরা এটি ঘোষণা করেছিলাম এবং এটি যেখান থেকে আমরা এনেছি তা আজ ব্যয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৃহত্তর সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন, যার বেশিরভাগ সরকারী মালিকানাধীন সেটাও পাকাপোক্ত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরে ঘোষণা করার কৌশল অনুসারে চার ট্রিলিয়ন রিয়াল, এর একটি অংশ যথারীতি ব্যবসা এবং এর একটি বড় অংশ শক্ত, আমাদের আছে ১২ ট্রিলিয়ন রিয়াল’।
যুবরাজ এ বিশাল ব্যয়ের উৎসের ব্যাপারে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। ‘আমরা বড় বড় সংস্থা এবং বেসরকারী খাতের সাথে কথা বলছি, এটি একটি বিশাল সুযোগ। এটি সউদী আরবের একটি নতুন রাজতন্ত্র যেখানে গত তিনশ’ বছরে যা ব্যয় করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি ব্যয় হবে’। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন