ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নে জমিজমা বিরোধের জের ধরে ভাতিজা মাওলানা মো. নুর ইসলাম (৪৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছেন চাচা আবু তাহের। এ ব্যাপারে থানায় ৭জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার ২নং আসামি আটক। নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম চাচা শ্বশুরদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। নিহত নুর ইসলাম এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন। এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রশিদ জমাদারের ছেলে নুর হোসেন তিন সন্তানের জনক ছিলেন। গত শুক্রবার সকালে নুর হোসেনের বাড়িতে প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটে। চরফ্যাশন হাসপাতালে নেয়ার পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুর হোসেনের শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয় এলাকা সূত্রে জানা গেছে, নুর ইসলামের বাবা আব্দুর রশিদ জমাদারের সঙ্গে চাচা আব্দুল মালেক জমাদার ও আবু তাহের জমাদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধপূর্ণ জমির নিস্পত্তির জন্য নুর ইসলামকে চাচা আব্দুল মালেক মোবাইল ফোনে ঘরে ডেকে আনে। এসময় স্ত্রী মরিয়ম তার সাথে যায়। পরে জমিজমা বিরোধের নিষ্পত্তির নিয়ে হঠাৎ কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাচা আবু তাহের ও আঃ মালেক ভাতিজা নুর ইসলাম ও ভাতিজার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের উপর সশস্র হামলা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাচা আব্দুল মালেক ভাতিজা নুর ইসলামের বরিশালে মৃত্যুর খবরে অন্যত্র পালাতে গেলে এলাকার লোকজন তাকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে শশিভূষণ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বাদি হয়ে থানায় ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছে। মামলার ২নং আসামি আব্দুল মালেক থানায় আটক রয়েছে। প্রধান ঘাতক নুর হোসেনের চাচা আবু তাহের পলাতক রয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন