কটিয়াদীতে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চোখ ওঠা রোগ, সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে এই ছোয়াছে রোগের প্রকোপ। বেশ কিছুদিন ধরে চোখে ভাইরাস জনিত এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শত শত মানুষ। ছোট-বড় সব বয়সিরাই রয়েছেন এই তালিকায়। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন অসংখ্য রোগী। তাছাড়া স্থানীয় ওষুধের ফার্মেসিগুলোতেও মিলছে না এ রোগের ওষুধ। ফলে রোগীদের জরুরি চিকিৎসা নিতে হিম শিম খেতে হচ্ছে। এদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চোখ ওঠা রোগীদের সচেতন ও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
জানা যায়, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ রোগের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। উপজেলার সর্বত্রই এমন অবস্থা। প্রতিনিয়তই একই পরিবারে নতুন কারো এ ভাইরাস দেখা দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ জানান, এই ভাইরাস রোগটি প্রথমে এক চোখে কিংবা দুচোখেই জ্বালা করে এবং লাল হয়ে চোখ ফুলে যায়। তাছাড়া চোখ জ্বালা চুলকানি, খচখচে ভাব থাকা, চোখ থেকে পানি পড়া, চোখে বারবার সাদা ময়লা বা পিচুরিটি আসা এবং কিছু ক্ষেত্রে আবার চোখ তীব্র ব্যথা এ ভাইরাস রোগের অন্যতম লক্ষণ। চিকিৎসা শাস্ত্রে এই ভাইরাসের নাম হলো এডেনা ভাইরাস আর রোগের নাম হলো ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস। ডাক্তার গন চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে নিষেধ করছেন। তারা প্রায় সময় টিউবওয়েলের পরিস্কার পানি চোখে ঝাপটা দিয়ে চেখ ধূয়ে ফেলতে এবং ঐ ঠান্ডা পানির সেক দিতে। যদি ব্যথা বেশি হয় তবে সাধারণ পেইন কিলার খেতে এবং চোখে বেশি ময়লা কিংবা কেতুর দেখা দিলে তবে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা আরও বলেন যে, এ রোগ ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই এমনিতেই সেরে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন