একাধিক বিয়ে করা বড় ভাইয়ের তালাক দেয়া দ্বিতীয় স্ত্রীর কন্যা সন্তানের ভরণ-পোষণের অর্থ দাবি করে পারিবারিক আদালতে দায়ের করা মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় শিক্ষক দম্পতি ছোট ভাই ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিনিয়ত হয়রানী করছেন দিনাজপুরে বসবাসকারি বড় ভাই। হয়রানীর শিকার শিক্ষক দম্পতি কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় আজিজ ফয়েজুন্নেসা টাওয়ারে বসবাস করেন।
গতকাল রোববার দুপুরে শিক্ষক হাবিবুর নবী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার বড় ভাই হাবিবুর নবী আশিকুর রহমান কুমিল্লা ও দিনাজপুরে একাধিক বিয়ে করেছেন। ২০০৩ সালে কুমিল্লা শহরের দক্ষিণ চর্থায় সামিনা হায়দার নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। এটি ছিল আশিকুরের দ্বিতীয় বিয়ে। এ সংসারে একটি কন্যা সন্তান হওয়ার পর ২০০৭ সালের শেষের দিকে আশিকুর তার পরিবারকে কুমিল্লায় রেখে দিনাজপুর চলে যায়। পরবর্তীতে সে দিনাজপুরে আরেকটি বিয়ে করে। ২০১২ সালে সামিনাকে সে তালাক দেয়। এরপর সামিনা অন্যত্র বিয়ে করলে বড় ভাই আশিকুরের অনুরোধে তার কন্যা হোসনে আয়েশার রহমানের লালন পালনের দায়িত্ব নেন ছোট ভাই হাবিবুর নবী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। ওই কন্যার ভরণ-পোষণের খরচের ব্যাপারে আশিকুরকে জানালে সে গড়িমসি করতে থাকে। এভাবে প্রায় ৮ বছরের বেশি সময় হোসনে আয়েশার দায়িত্ব পালন করে আসছেন চাচা হাবিবুর নবী মাহবুবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, হোসনে আয়েশা ও তার দাদী সুলতানা বেগম কুমিল্লার পারিবারিক আদালতে হাবিবুর নবী আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ভরণ-পোষণের মামলা করেন। এ মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় ওই কন্যার চাচা হাবিবুর নবী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও চাচী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে দিনাজপুরের আদালতে এবছরের মার্চ মাসে একটি মিথ্যা মামলা করেন আশিকুর। এমামলায় গত ২৭ জুন তারা স্থায়ী জামিন পান। এর পর থেকে আশিকুর তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষক দম্পতি হাবিবুর নবী আশিকুর রহমানের দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও হুমকি ধমকির প্রতিকারের বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন