শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

স্বামীর নির্যাতনে ৭ দিনের সন্তান নিয়ে মৃত্যু শয্যায় ফাতেমা

| প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : যৌতুকের কারণে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির নির্মম নির্যাতনে ৭ দিনের কন্যাসন্তান নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন ফাতেমা খাতুন লিয়া (২৫)। ঘটনাটি ঘটেছে ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চাঁন আমুলা গ্রামে। ফাতেমা বর্তমানে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাত নম্বর ওয়ার্ডের তের নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনা ফাতেমার পিতা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে স্বামী শফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে শাশুড়ি মোছা. রোকেয়া বেগম ও শ্বশুর মো.আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চাঁন আমুলা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শফিকুল ইসলামের সাথে ছয় বছর আগে একই উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন লিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে শফিকুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা ও মেয়ের গহনা বাবদ ২ ভরি স্বর্ণ প্রদান করেন তোফাজ্জল হোসেন। বিয়ের পর কিছুদিন ভালোই চলতে থাকে তাদের দাম্পত্য জীবন। বছর দুই পরে তাদের ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যাসন্তান। ওই কন্যাসন্তানই কাল হয় ফাতেমার জীবনে। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে নানা অজুহাতে অত্যাচার চালাতে থাকে তার উপর। দাবি করতে থাকে মোটা অঙ্কের টাকার যৌতুক। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আরো ৭০ হাজার টাকা দেয়া হয় শফিকুল ইসলামকে। তাতেও মন ভরে না তার। দাবি করে আরো এক লাখ টাকা। ফাতেমা ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে তার উপর। প্রতিনিয়তই চলতে থাকে নির্মম অত্যাচার। এক সপ্তাহ আগে আরেকটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় ফাতেমা। এতে আরো মাথা বিগড়ে যায় স্বামী শফিকুলের। গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী শফিকুল ইসলাম, শাশুড়ি মোছা. রোকেয়া বেগম ও শ্বশুর মো. আব্দুল হামিদ ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। পরে শ্বশুর-শাশুড়ি হাত-পা ধরে রাখে আর স্বামী শফিকুল ইসলাম দা এনে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় ফাতেমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন