পাকিস্তানে উপনির্বাচনে একাই ৬টি আসনে জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তাহরিকে ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি ৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এটিকে সাবেক ক্ষমতাসীন তাহরিকে ইনসাফ পার্টি ও বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ৮ আসনের মধ্যে দুটি আসন জিতেছে ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থীরা।
রোববার অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদের আটটি আসনের উপনির্বাচনে ছয়টিতেই ইমরান খান জয়ী হয়েছেন। আর পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতেই তার দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। ইমরান খান জাতীয় পরিষদের আটটির মধ্যে সাতটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থীর (পিপিপি) কাছে হেরে গেছেন। অপরটিতে তার দলের প্রার্থী পিপিপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছে। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
ইমরান খান ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থীদের হারিয়ে জাতীয় পরিষদের পেশোয়ার, মর্দান, চারসাদা, ফয়সালাবাদ, মুলতান ও নানকানা সাহিব আসনে জয়ী হয়েছেন। প্রধান বিরোধী দল পিটিআই পাঞ্জাব পরিষদের উপনির্বাচনে তিনটির মধ্যে দুটি আসনে জয়ী হয়েছে। আর একটি আসনে জিতেছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ।
পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রার্থী একসাথে জাতীয় পরিষদের সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন। দেশটির আইন অনুযায়ী কোনো প্রার্থী একাধিক আসনে নির্বাচন করতে পারেন। তবে নির্বাচনের পর তাকে একটি রেখে বাকি আসনগুলো ছেড়ে দিতে হয়।
ইমরান খানের এ জয়ে সরকার পরিবর্তন না হলেও তার নৈতিক জয় হয়েছে। তার কর্মীরা এতে করে সরকার পতন আন্দোলন বেগমান করতে উদ্দীপ্ত হবেন। অবশ্য সব আসনই একসময় ইমরান খানের দলের ছিল। স্পিকার এসব আসন শূন্য ঘোষণা করায় নতুন করে উপনির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন