হঠাৎ পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে কৃষকের কয়েকশ’ হেক্টর ফসলি জমি। গত ৪ দিন ধরে সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি দপ্তর জানিয়েছে; চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের শাজাহানপুর, নারায়নপুর, আলাতুলি, চরঅনুপনগর, দেবিনগর, সুন্দরপুর, ইসলামপুর, চরবাগডাঙ্গা ৮ ইউনিয়নের হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই সূত্র আরও জানিয়েছে, দেড় হাজার জন কৃষকের ২৫০ হেক্টর জমির মাসকলাই, চারশ কৃষকের ৪০ হেক্টর শাক সবজি, দু›চল্লিশ জন কৃষকের ৪০ হেক্টর সরিষা ও অনন্ত চল্লিশ জন কৃষকের ৫ হেক্টর তিল চাষাবাদের ভুমি ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়নপুরের সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমার ৬ বিঘা জমিতে কলাই বুনেছিলাম। হঠাৎ পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় সব জমি ডুবে গেছে। এ মাসকলাই বেচে বছরের অর্ধেকটা সময় সংসার চালাই।’
মাসুম আলী নামের নারায়নপুরের আরেক কৃষক বলেন, ‘বীজ ফুটে কেবল কলাইয়ের গাছ বের হয়েছিল। আবার কোন কোন গাছ বড়ও হয়ে গেছিল। হঠাৎ পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় আমার চাষাবাদের ক্ষেত ডুবে গেছে। প্রথম বারের বন্যাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
চরবাগডাঙ্গার সারোয়ার জাহান বলেন; ‘আমাদের এলাকায় প্রায় সব জমিতে কলাইয়ের গাছ বড় হতে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলের ডোবা নালা ডুবে, পানি উপচে কৃষকের ফসলি জমি ডুবে গেছে। অনেকেই বাড়ন্ত কলাইয়ের গাছ কেটে গোখাদ্যভাবে ব্যবহার করছে।’
গত ২৪ ঘণ্টায় দমমিক ৫ সেন্টিমিটার পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কানিজ তাসনুভা বলেন; ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৩৫ হেক্টর জমির ফসল ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ১৪০ জন কৃষক। এ বছরে ২ হাজার ১৫০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে মাসকলাইয়ের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন