দেশব্যাপী বিদ্যুৎও গ্যাসের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। রাজধানীতে দীর্ঘ দুই মাস ধরে এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হয়েছে। রাজধানীর বাইরে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার চলছে। লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে। একটানা লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।দিনের অধিকাংশ সময় কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হলে সময়মতো বিদেশে পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে না। ফলে রপ্তানি অর্ডার বাতিলের শঙ্কা দেখা দিতে পারে। বস্তুত বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে স্থবিরতা বিরাজ করছে। বিদ্যুতের অভাবে সেচযন্ত্র বন্ধ থাকায় চলতি আউশ মৌসুমের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে চার্জার ফ্যান। নগর জীবনে ফিরে এলো লোডশেডিং। সেই সঙ্গে ফিরছে গেলো এক দশকে বিলুপ্তির প্রান্তে থাকা আইপিএস, চার্জার লাইট ও ফ্যানের ব্যবহার। সম্প্রতি বিক্রি বেড়েছে পণ্যগুলোর। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে দামও। এ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই সোলার প্যানেল ও জেনারেটর। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেও প্রায় সব ঘরেই জ্বলতো মোমবাতি। কালের বিবর্তনে সে জায়গা দখলে নিয়েছে আইপিএস। দেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় মোমবাতির সঙ্গে আইপিএসকেও ভুলতে বসেছিলেন দেশের মানুষ।
গ্রিড বিপর্যয়ের পর গত এক সপ্তাহেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরিস্থতি আগের লোডশেডিং অবস্থায়ও ফিরতে পারেনি। আগের চেয়ে লোডশেডিং আরো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর আপাতত এই পরিস্থিতির উন্নতির কোনো আশাও নেই। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিজেই গত মঙ্গলবার বলেছেন,মধ্যরাতেও লোডশেডিংনিয়ে আপাতত বিছু করার নাই। সবাইকে আরো একটু কষ্ট করতে হবে। জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে বিদুৎ কেন্দ্রগুলো চালানো যাচ্ছে না। দেশের ১৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ৬৩টি কেন্দ্র এখন জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে বসে আছে। টাকার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এখন অনেকটা প্রকৃতির ওপরই পরিস্থিতি ছেড়ে দিয়েছেন। তার কথা,গ্ধশীত এলে বিদ্যুতের চাহিদা কমবে। তখন হয়তো কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে। আগামী ২০২৩ সালের জন্য সাড়ে ৫৪ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১৬ লাখ টন অপরিশোধিত এবং ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টন পরিশোধিত। অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এর আগে এই অক্টোবরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছিলেন। এখন নভেম্বর নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা সহসাই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছেন না। তারা বলছেন,নভেম্বর থেকে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের কারণে বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম থাকে। সেই আশায় মনে হয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা বলেছেন।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান ইকলাবকে বলেন, গ্রাহকদের বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা এমন এক দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে আছি যেখানে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।› গত কয়েক দিন ধরে আমরা বরাদ্দের চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি। ঢাকায় ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াটের ঘাটতি অনেক বেশি। দিনে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।
এদিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ২০১৭ সালে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক (এলএনজি) পায়রা ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। জমি বরাদ্দ ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বেশ বেড়ে যাওয়ায় এ প্রকল্প থেকে সরে আসছে সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ওই বছর জার্মানিভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স এজির সঙ্গে চুক্তি করে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (নওপাজেকো)। পরে ২০২০ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি এবং বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগকারী চীনের সিএমসির সঙ্গে আরেকটি বহুপক্ষীয় চুক্তির খসড়া তৈরি হয়। চুক্তিটি না করার অনুরোধ জানিয়ে নওপাজেকো গত মাসে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিদ্যুৎ বিভাগ। চিঠিতে নওপাজেকো বলেছে, সরকার ইতিমধ্যে পায়রা উপকূলে গভীর সমুদ্রে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আলাদা টার্মিনাল নির্মাণের দরকার নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এলএনজি সরবরাহে বহুপক্ষীয় চুক্তির কিছু ধারা আর প্রাসঙ্গিক নয়। এ অবস্থায় বহুপক্ষীয় চুক্তিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নওপাজেকো বোর্ড।
বাংলাদেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট শুরু হয় জুলাই মাস থেকে। ১৯ জুলাই থেকে সারাদেশে লোডশেডিং করে বিদ্যুতের রেশনিং শুরু হয়। তখন কথা ছিলো প্রত্যেক এলাকায় দিনে এক ঘন্টা করে বিদ্যুৎ থাকবে না। কিন্তু শুরুতেই তার চেয়ে অনেক বেশি লোডশেডিং করা হয়। পরিস্থিতি সামলাতে রাত আটটার পর দোকান পাট বন্ধ, অফিস সময়সূচির পরিবর্তন করে লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তখন বলা হয়েছিলো বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিজেল চালিত বিদু্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বলা হয় দিনে সারাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। উৎপাদন করা যাচ্ছে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের ঘাটতি পুরণে এই ব্যবস্থা। কিন্তু গত ৪ অক্টোবর বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের পর বিদ্যুৎ সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে গ্যসের অভাবে আরো প্ল্যান্ট বন্ধ আছে। গ্রিড বিপর্যয়ের পর কিছু প্ল্যান্ট আর সচল হয়নি। গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। আর এখন তা বেড়ে দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হচ্ছে। লোডশেডিং গত তিন মাসের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। ঢাকায় গড়ে দিনে চার থেকে-পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। আর ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলা গুলোতে সাত থেকে ১৫ ঘন্টা। মধ্যরাতেও একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে খোদ রাজধানীতেই। তেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখার পর এখন গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও উৎপাদন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। স্পট প্রাইসে এলএনজি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ আছে।
দেশে এখন মোট বিদ্যুৎ বেন্দ্র ১৩৩টি। এর মধ্যে গ্যাসচালিত ৫৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার ১৭ মেগাওয়াট। সেখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। ফার্নেস অয়েল চালিত ৫৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা পাঁচ হাজার ৫৪১ মেগাওয়াট এবং ১১টি ডিজেল কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৫১৫ মেগাওয়াট। সব মিলিয়ে জ্বালানি তেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা সাত হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও দিনে গড়ে উৎপাদন হচ্ছে দুই হাজার ৫০০ মেগাওয়াট থেকে চার হজার মেগাওয়াট পর্যন্ত।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম ইনকিলাবকে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি আছে। কিন্তু গ্যাস ও তেল নাই। এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। কারণ তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। ডলার সংকট অব্যাহত আছে। সরকারের হাতে ডলার নেই। গ্রিড বিপর্যয়ের পর যেসব প্ল্যান্ট এখনো চালু করা যায়নি বলা হচ্ছে। সে সব প্ল্যান্ট আসলে জ্বালানির অভাবে চালু হয়নি। এখন যা পরিস্থিতি তাতে বিদ্যুতের এই খারাপ অবস্থা চলতেই থাকবে। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা একটু কম থাকে। তাই হয়তো নভেম্বরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। মার্চে কী হবে জানি না। যদি রামপালের( কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র) এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং ভারতের আদানির ৮০০ মেগাওয়াট আসে তাহলে দুই হাজার মেগাওয়াট তখন পাওয়া যাবে। এটা যদি যোগ হয় তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অন্যথায় নয়। আর রূপপুরের বিদ্যুৎ পেতে আরো অনেক সময় লাগবে। আর যদি এপ্রিলের দিকে তেল গ্যাসের দাম কমে আসে তাহলে প্ল্যান্টগুলো চালু করা যাবে। তবে তেলের বাকি আছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এটা শোধ না করলে আমরা তেল পাব না।
এ বিষয়ে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য মো.মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংকট এই রকমই থাকবে। এর চেয়ে আর অবনতি হবে না। তারপর কী হবে তার পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। কারণ প্রাকৃতিকভাবে বাংলাদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। সংকট মেকাবেলায় আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের গ্যাস থাকলেও তা আমরা উত্তোলন করছিনা। আমরা আমাদের গ্যাসের ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে দিলেও এই সমস্যা থাকত না। গ্যাসের সিস্টেম লস কমাতে পারলে অনেক গ্যাস পেতাম। যে গ্যাস আবিষ্কার হয়েছে তাও তুলতে পারছি না।
এ প্রসঙ্গে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে তো তেল গ্যাস আমদানি করতে হবে। সরকারের হাতে তো টাকা নেই। আর এটা করলে খরচ বেড়ে যাবে। আসলে আমাদের বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলো করা হয়েছে কিছু লোককে ব্যবসা দেয়ার জন্য। এখন তার পরিণতি আমরা ভোগ করছি। এটা আমলাদের অদক্ষতার কারণে হয়েছে। এর আপাতত কোনো সমাধান নাই। এজন্য পুরো সিস্টেম পরিবর্তন দরকার। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আজ তার অসহায়ত্বের কথা বলেছেন। বলেছেন তেল-গ্যাসের উচ্চমূল্যের কথা। এই কথা আমরা আগেই বলেছিলাম। এখন তিনি সেটা স্বীকার করলেন।
ঢাকা জেলার সাভার কবিপুর, রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মপুর, শ্যামলী, আগারগাও, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, নন্দলালপুর, কাজলা ও মাতুয়াইলসহ রাজধানীর ৪০টি প্রান্তিক এলাকায় গতকাল প্রতি ১ ঘণ্টা পরপরই লোডশেডিং হয়েছে। প্রতি মুহূর্তেই এ অঞ্চলের অন্তত ১টি পাড়া অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। দেখা গেছে, এক এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলে অন্য এলাকায় নেই। আবার সেই অন্য এলাকায় এলে আগের এলাকায় লোডশেডিং। গতকাল রাত ১২টার দিকে ঘুমাতে গিয়ে সকাল ৮টা পর্যন্ত সেসব এলাকার মানুষকে ৪ ঘণ্টার লোডশেডিং সহ্য করতে হয়েছে। যা জানানো হয় সেটাই বিদ্যুৎ খাতের প্রকৃত সত্য, না অন্যকিছু? শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প এবং সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গত ১৬ অক্টোবর রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন