বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো এবং চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে ইতালির বিমানবন্দরে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমের কর্মীরা।
ইতালিজুড়ে বিমানবন্দরগুলোতে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, চুক্তি নবায়ন ও বেতন বাড়ানোর দাবির মুখে এরই মধ্যে ইতালির জাতীয় এয়ারলাইন্স ইটা ও বেশকিছু জনপ্রিয় এয়ার লাইন্সও তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে স্থানীয় যাএীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যাএীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ভোগান্তির শিকার এক ব্যক্তি বলেন, ইতালিতে বিমান ধর্মঘটের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। এরই মধ্যে অনেকের টিকিট বাতিল হয়েছে। সাধারণ জনগণ এতে অনেক ভোগান্তিতে পড়েছে। আরেকজন বলেন, এর ফলে ইতালি ও ইতালি এয়ারলাইন্স ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে।
ইতালির শক্তিশালী শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘটের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এবারের এয়ার ট্রাফিক স্ট্রাইকের কারণে ইতালির অ্যাভিয়েশন খাত বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে অর্থনৈতিক মন্দা ও করোনাকালে যাত্রী সংকটের কারণে ২০২১ সালের অক্টোবরে ইতালির জাতীয় পতাকাবাহী আল ইতালিয়া এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ইউরোপজুড়ে তীব্র জ্বালানি সংকট ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটির ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এ অবস্থায় আর্থিক মন্দার ধাক্কায় আগামী বছরের শুরুতেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে, চাকরি হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার কর্মজীবী মানুষ। সম্প্রতি এক সেমিনারে এ কথা জানান ইতালির শ্রমিক ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এতে চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন কর্মজীবী প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন