চট্টগ্রামের আনোয়ারায় শিক্ষক শূন্যতায় ভেঙে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। উপজেলায় ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০ জন প্রধান শিক্ষক ও ১৭ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে কোন জবাবদিহিতাও নেই। একই সঙ্গে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও শ্রেণি কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি লেখাপড়াও ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদওশূন্য রয়েছে। এতে করে লেখাপড়ার মান নিয়ে অভিভাবকরা আছেন দুশ্চিন্তায়। সরেজমিনে উপজেলার চুন্নাপাড়া ফরুক আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে দুই শিফটে ২৩৯ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান। নেই প্রধান শিক্ষকও, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহেদ কুতুবী জানান, চারজন শিক্ষক থাকলেও একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছে, তাই তিনজন দিয়ে চলছে শ্রেণি কার্যক্রম। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে ৭০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন, বাকি ৪০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে। অপর দিয়ে ৬৭৭টি সহকারী শিক্ষক পদে ৬৬০ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছে। এতে ১৭টি পদ শূন্য রয়েছে। বিভিন্ন সময় শিক্ষকরা অবসর, বদলি, মৃত এবং পদোন্নতি জনিত কারণে এসব প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের পদ শন্য রয়েছে। এদিকে অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলগুলোতে পাঠদানে কোন জবাবদিহিতা নেই। শিক্ষকরা ইচ্ছামত বিদ্যালয়গুলোতে আগমন প্রস্থান করেন। বছরের পর বছর প্রধান শিক্ষক না থাকায় লেখাপড়ার মান নিয়েও অভিভাবকরা চিন্তিত। অনেক বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্ধের টাকাও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া উপজেলার কোনো বিদ্যালয়ে স্কুল ফিড়িং এর ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও কম। শিক্ষকদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ থাকলেও সৃজনশীলতার প্রশিক্ষণ না থাকায় যথাযত পাঠদান শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেনা। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কাদের বলেন, অবসর, বদলি ও মৃত জনিত কারণে এসব প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের জন্য সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা শুরু করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন