শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ফিরোজ সরদার (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফিরোজ সরদার খালেক সরদারের ছেলে। অপর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর গতকাল দুপুরে চরধুপুর কাচারিকান্দি গ্রামের রফিক সরদারের মৃত্যু হয়। ঘটনা পরবর্তী এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের চরধুপুর কাচারিকান্দি গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য সাদেক সরদার ও বাদশা সরদার গ্রুপের সাথে বর্তমান ইউপি সদস্য খবির সরদার ও দেলোয়ার সরদার গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শত্রুতা চলে আসছে। গত শুক্রবার বিকেলে সাদেক সরদার, বাদশা সরদার গ্রুপ এবং খবির সরদার, দেলোয়ার সরদার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় গ্রুপের সমর্থকরা দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেশিয় অস্ত্র ও ককটেলের আঘাতে উভয় পক্ষে অন্তত ১২ জন গুরুত্বর আহত হয়।
জাজিরা হাসপাতালে নেওয়ার পরে চরধুপুর কাচারিকান্দি গ্রামের ফিরোজ সরদার মারা যান। সে সাদেক সরদার ও বাদসা সরদার গ্রুপের সমর্থক। অপর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চরধুপুর কাচারিকান্দি গ্রামের রফিক সরদার এর মৃত্যু হয়। সে খবির ও দেলোয়ার সরদারের সমর্থক ছিলেন।
সংঘর্ষে বোমা ও দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রের আঘাতে আহতদের মধ্য থেকে টেটাবিদ্ধ অবস্থায় হাবিব সরদার ও রফিক সরদারকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আহত রফিক সরদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান জালাল জমাদ্দার জানিয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের সমর্থকদের অন্তত ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নাজিম উদ্দীন বলেন, আহত ফিরোজ সরদারকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসা শুরু করি। চিকিৎসারত অবস্থয় তার মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।
জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন