বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাবিতে ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা গ্যাসের চুলা জ্বলে না, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির তীব্র সঙ্কটে ফুঁসে উঠছেন মানুষ। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাবিতে গতকাল রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঙ্কটে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে মানুষ নানান মন্তব্য করছেন। বস্ত্রকল মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে গ্যাস-বিদ্যুতের সঙ্কটের চিত্র তুলে ধরে জানিয়েছে কারখানায় ৬০ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে। গতকাল বাংলাদেশ চেম্বারের আলোচনা সভায় গ্যাস-বিদ্যুতের ভয়াবহ সঙ্কটের চিত্র তুলে ধরে দাবি জানানো হয় মিলকারখানা বন্ধের হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে বাসা-বাড়ির গ্যাস-বিদ্যুৎ বন্ধ করে কারাখানায় সরবরাহ করা হোক। সেখানে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী কোনো আশার কথা শোনাতে পারেননি। বরং তিনি হতাশার কথা শুনিয়ে বলেছেন, দরকার হলে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহারই করব না। সাশ্রয়ী হতে সবাইকে তৈরি থাকতে হবে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরাও এই দাবিতে বিক্ষোভ করে। এসব বিক্ষোভে ঝাড়ু, হারিকেন, কলস, বালতি ও হাড়ি নিয়ে বিক্ষুব্ধ মানুষ অংশ নেন। এসময় গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাবিতে ‘গ্যাস দে, বিদ্যুৎ দে, পানি দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’সহ নানা সেøাগান দেয়া হয়। এসব বিক্ষোভ সেøাগান সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে নানাজন নানা ধরনের মন্তব্য লিখছেন। রাজধানীর বাড্ডা, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর, পল্লবী, ভাটারা, খিলগাঁও, তেজতুরি বাজার, শ্যামলী, রামপুরা, মগবাজার, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া বিক্ষুব্ধ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশির ভাগের বাসায় গ্যাসের অভাবে দিনে রান্নাবান্না বন্ধ। রাত একটা থেকে ২টার মধ্যে গ্যাস এলেও ভোরে আবার চলে যায়। এ জন্য তারা নিদারুণ কষ্টে দিন যাপন করছেন। আর বিদ্যুৎ প্রতি দুই ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে।
গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে ভোগান্তিতে পড়া সাধারণ মানুষ সরকারের ‘শতভাগ বিদ্যুৎ’ দাবির নানা মন্তব্য করছেন। এনামুল হক নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন ‘সংসদে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দাবি করেছেন বিদ্যুৎ নেবেন গো বিদ্যুৎ হাকডাক দিয়ে গ্রামে গ্রামে আগামিতে ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে। সেই বিদ্যুৎ গেল কই?’ একজন লিখেছেন, ‘বঙ্গুবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করতে জাতীয় সংসদে খন্দকার মোশতাক ইনডেমেনটি বিল পাস করেছিল। শেখ হাসিনা সরকার রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের দুর্নীতির বিচার বন্ধ করতে সংসদে ইনডেমনিটি বিল পাস করেছে। এখন প্রমাণ হয়েছে কি কারণে এই বিল পাস করেছে।’ একজন লিখেছেন, ‘বিদ্যুৎ গ্যাস দিতে না পারলে গদি ছেড়ে দিতে হবে।’ নুরুদ্দিন নামের একজন লিখেছেন, ‘বিএনপি ও তারেকের বিরুদ্ধে খাম্বা বসানোর অভিযোগ তুলেছিল আওয়ামী লীগ এখন তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চোরের অভিযোগ তুলছে মানুষ’। গ্যাস-বিদ্যুতের সঙ্কটে পড়ে এমন হাজারো মন্তব্য করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা।
এরই মধ্যে গত ৪ অক্টোবর পূর্বাঞ্চলীয় গ্রীডে বিপর্যয় ঘটে। বিপর্যয়ের কারণ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয় এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে বিপর্যয় হয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে। পরে দু’জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জাতীয় গ্রীডে বিপর্যয়ের ঘটনায় পরিষ্কার বিদ্যুৎ সেক্টরের দায়িত্ব যারা রয়েছেন তাদের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতায় মানুষ নিদারুণ কষ্টে পড়ে গেছে। অথচ কয়েক মাস আগে ‘শতভাগ বিদ্যুৎ’ কর্মসূচি পালন করা হয়। রেস্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ ক্রয় করা হয়। এখন ভাড়াভিক্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পাওনা অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে না। ভাড়া বিদ্যুতের মালিকরা জানিয়েছেন তাদের ভাড়ার টাকা পরিশোধ করা না হলে সামনে তারা উৎপাদন চালু রাখতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে সাবেক বিদুৎ ও জ্বালানি সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল করিব খান বলেছেন, বিুদ্যৎ খাতে সরকারের ভ্রান্ত নীতি ও কৌশল, ব্যবস্থাপনা, আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমন্বয়ের অভাব ও স্বজনতোষণ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ অনিবার্য বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করেছে মাত্র। সব মিলিয়ে মাত্রাতিরক্ত লোডশেডিং, সীমাহীন জনদুর্ভোগ এবং দেশীয় ও রফতানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে। কিন্তু সরকার নিজেদের কল্পিত সাফল্য নিয়ে এতোটাই আত্মতুষ্টিতে ভুগছে যে এসব সতর্ক বার্তায় তারা কান দেয়নি।
জ্বালানি সাশ্রয়ে গত জুলাই থেকে ঘটা করে লোডশেডিংয়ের যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সেটি শীতের আগে আগে মারাত্মক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৪ অক্টোবর পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর থেকে রাতেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় সারাদেশে লোডশেডিং হচ্ছে। এ কারণে জনমনে ক্ষোভ স্পষ্ট। রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় ১ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। অব্যবস্থাপনা থেকেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ বলে দাবি করেছে গ্রাহকরা। এদিকে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঝাড়ু মিছিল করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলে অংশ নেয়া একাধিক নারী জানান, দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা আগামী ৬ নভেম্বর শুরু হবে। এই বছর ২০২২ এর এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ১৩ হাজার ৪০৭ জন। সারাদেশে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীরা শুধু বিদ্যুতের কারণে কষ্ট করছে তা নয়, গ্যাস না থাকায় তারা খেতেও পারছেন না।
বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ১৮ জুলাই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১৯ জুলাই থেকে দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও কেন কমেনি লোডশেডিং। চলতি অক্টোবর থেকে লোডশেডিং কমবে বলে জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু তা হয়নি। বরং লোডশেডিং আরো বেড়েছে। রেশনিং পদ্ধতিতে এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দেয়া হলেও দিনে ৬ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ পরীক্ষামূলক লোডশেডিং ঘোষণা করা হলেও ইতোমধ্যে তিন মাস অতিক্রম করেছে। সঙ্কট সমাধানের পরিবর্তে উল্টো বেড়েছে লোডশেডিং। শিল্পকারখানায় উৎপাদন কমছে, এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। অস্থির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বলেছেন, সাশ্রয়ী হতে গিয়ে কষ্ট করতে হলে সবাইকে তা করতে হবে। সবাইকে তৈরি থাকতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করব। দরকার হলে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহারই করব না। আমরা শপথ নেব দিনের বেলায় কেউ বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না। দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে দিনের আলোয় সবাই কাজ সারবো। এ জন্য দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার শপথ নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র থেকে বলা হয়, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছিল। অক্টোবরে তা বেড়েছে। ডিপিডিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) মাধ্যমে বরাদ্দপ্রাপ্তির ভিত্তিতে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বা সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। রাজধানীর অনেক এলাকায় চলছে তিন থেকে চার ঘণ্টার বিদ্যুতের লোডশেডিং। বেড়েছে চার্জার লাইট ও ফ্যানের চাহিদা। গতকাল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মার্কেটের সামনে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ যা ভাবা হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ। তবে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ, বিদ্যুৎবিভ্রাট বা কম বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে এনএলডিসি থেকে খুব কম লোড পেলে লোডশেডিংয়ের সূচির পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া বরাদ্দ কম হলে প্রয়োজনে রাত ১২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত লোডশেডিং করা হতে পারে। রাজধানীতে ডিপিডিসি ও ডেসকো এই দুই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা লোডশেডিংয়ের তালিকা দিয়েছে। পাঠকের জন্য এই তালিকা তুলে ধরা হলো। এদিকে আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন পাড়ায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ ছিল না বলে জানিয়েছেন ডিপিডিসি গ্রাহক সালমা রশিদ। তিনি বলেন, একদিকে বিদ্যুৎ ঘন ঘন লোডশোডিং অন্যদিকে কার্ডে টাকা ঢুকানো মাত্র কেটে নিচ্ছে। তাও আগের চেয়ে বেশি টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে গ্যাস-সঙ্কটের কারণে বস্ত্র খাত মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, গত মার্চে গ্যাসের সঙ্কট শুরু হয়। জুলাইয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। আর আগস্ট থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, নরসিংদীর মাধবদী, ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুরের শ্রীপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বস্ত্রকলগুলো গ্যাস সঙ্কটের কারণে দিনে গড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকছে। এতে করে কারখানাগুলো উৎপাদনক্ষমতার মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতি কেজি সুতা উৎপাদনে ১ ডলার ২৫ সেন্ট খরচ হলেও দিনের অর্ধেক সময় কারখানা বন্ধ থাকার কারণে তা বেড়ে আড়াই ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। বিটিএমএ সভাপতি বলেন, কাপড় রং করার ডাইং কারখানাগুলোও লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পেট্রো বাংলা সূত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এতো দিন কাতার থেকে গড়ে প্রতি মাসে পাঁচটি করে এলএনজির কার্গো আসত। কিন্তু চলতি অক্টোবর ও আগামী নভেম্বরে আসবে চারটি করে। ফলে জাতীয় গ্রিডে ১০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। গ্যাস সাশ্রয়ের জন্য আরো দুই ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে দেশে চলা ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে আরো হতাশার কথা শুনিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর আগে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানালেও এবার তিনি বলছেন, নভেম্বরের আগে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতির কোনো আশা তিনি দেখছেন না। এদিকে হতাশার কথা হলো নভেম্বরের আগে গ্যাস আনতে না পারায় লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতির আশা নেই।
লোডশেডিংয়ে ভয়াবহতার সম্পর্কে প্রখ্যাত জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, সঙ্কট সমাধানে দেশীয়ভাবে উদ্যোগ নেয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জ্বালানির জোগান দিতে গেলে অর্থ লাগবে। আমরা সেই অর্থসঙ্কটে আছি। সেই সঙ্কটটা নভেম্বরে কেটে যাবে, আর বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে, তা আমি যৌক্তিক মনে করি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন