ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে টেলিযোগাযোগ সেবার বিপর্যয় ঘটেছে। ঝড়ের কারণে ওই অঞ্চলের ১৯টি জেলার ১৩ হাজার ৯০২টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে ৭ হাজার ৩৪২টি অচল হয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার ঝড় পরবর্তি সময়ে ১ হাজার ৫২৮টি টাওয়ার সচল হলেও এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত অচল ছিল ৫ হাজার ৮১৪টি। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলা- কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, যশোর, নড়াইল ও শরিয়তপুরে ৪টি মোবাইল ফোন অপারেটরের ৭ হাজার ৩৪২টি সাইট অচল হয়ে পড়ে। গতকাল দেড় হাজারের মতো সাইট সচল করা হয়। অবশিষ্ট অচল সাইটগুলো সচল করতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। অচল হওয়া টাওয়ারগুলোর মধ্যেÑ গ্রামীণফোনের ২ হাজার ৮৬৩টি, রবির ২ হাজার ৪৯১টি, বাংলালিংকের ১ হাজার ৩৭৮টি এবং রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিটকের ৬১০টি। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গ্রামীণ ফোনের ৬৯০টি, রবির ৫৭৪টি, বাংলালিংক ২০টি এবং টেলিটক ২৪৪টি টাওয়ার চালু করতে সক্ষম হয়।
এছাড়া ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) সেবা প্রদানকারী ফাইবার এট হোমের ১৪৫টি পয়েন্ট অব প্রেজেন্স (পপ) এর মধ্যে ১৪৪টি এবং সামিট কমিউনিকেশনসের ৩৫২টি পয়েন্ট অব প্রেজেন্স (পপ) এর সবকটি বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং অতিরিক্ত পরিমাণে প্লাবিত হওয়ার কারণে অচল হয়ে গেছে। এসব পপ থেকেই মোবাইল ফোন অপারেটররা সেবা গ্রহণ করে থাকে।
আর ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত ১৯টি জেলায় ৩২৬টি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান সেবা প্রদান করে। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব এলাকায় ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে ব্যহত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন