শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

 ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ঢাকা আলিয়ায় সেমিনার অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ৪:১৩ পিএম

উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মাদ্রাসা-ই- আলিয়া ঢাকার উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স.) এর অবদান' শীর্ষক সেমিনার, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে এই সেমিনার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা-ই-অলিয়ার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবদুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) মোঃ হাবিবুর রহমান।

উক্ত সেমিনারে ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স.) এর অবদান' বিষয়ের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারি মাদ্রাস-ই-আলিয়ার সহকারী অধ্যাপক ও আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ।

প্রবন্ধ উপস্থাপনের আলোচনায় ড. মোহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, সারা বিশ্বের মানবতার মুক্তির দূত রাসূল (সা.)। আমাদের জীবনে তার আদর্শের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান সমাজের সকল অশান্তি, অস্থিরতা, জুলুম, নির্যাতন, খুন, রাহাজানি, নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। মানুষের নানামুখী প্রচেষ্ট সত্বেও অশান্তি ও অস্থিরতা কমছে না। এমন পরিস্থিতিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে মহানবী (সাঃ) এ-র আদর্শের বিকল্প নেই।আমাদের রাসূলের আদর্শ পালন করে জীবন পরিচালিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত মহানবী (সাঃ) শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা আজ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজন স্বীকৃত, সর্ব মহলে প্রশংসিত। আমাদের সেগুলো মেনে জীবন পরিচালিত করতে হবে।আমাদের ব্যক্তিগত জীবন ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও মুক্তির বিপ্লব ঘটাতে হলে নবীজির উপস্থাপিত নীতিমালার অনুসরণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন বলেন, মহানবী (সাঃ) এর আদর্শ এবং জীবনের নানাবিধ কর্মকান্ডের ব্যাপক বিচার-বিশ্লেষণ করে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সুন্দরতম চরিত্র, অনুপম আদর্শ, নির্ভীকতা ও সহনশীলতার মাধুর্য দেখে অবাক হয়েছেন। তাঁর সততা, কতর্ব্যপরায়ণতা, ন্যায়নীতি,ক্ষমা, দয়া এবং নিষ্ঠা দেখে তাঁরা অভিভূত হয়ে পড়েন।আমাদের সমাজে তার আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে আর এটি ছড়াতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আরবীর পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষায় দক্ষ হয়ে দেশের উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নতি করতে হবে।বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়নে ব্যপক কাজ করছে।

সেমিনার শেষে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় পুরস্কার পাওয়া ছাত্রদের হাতে বই ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ঢাকা আলিয়া ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা আলিয়া সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ডিবেটিং সোসাইটির সদস্যরাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন