রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গলাচিপা’র ভাঙন থেকে রক্ষার দাবি

গলাচিপা (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পটুয়াখালীর গলাচিপায় গত বৃহস্পতিবার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম গলাচিপা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী আটখালী গ্রামে ভাঙন কবলিত গলাচিপা নদীর তীরে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আর নয় বেড়িবাঁধ নদী শাসন করে তিনটি গ্রাম রক্ষার জন্য এলাকাবাসী দাবি তুলেন।
গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালী, হোগলবুনিয়া ও ডাকুয়া গ্রামের প্রায় অর্ধেক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ তিনটি গ্রামের প্রায় একশত পরিবার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। গলাচিপা নদীর তীব্র ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবরস্থান, ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, তেঁতুলতলা বাজার, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, তিনটি মসজিদ, একটি মাদরাসা, একটি মন্দির ও জমিদার বাড়িসহ কয়েকশত পরিবার। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে তেঁতুলতলা বাজারের দক্ষিণ পাশে প্রায় একশ ফুট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ধসে যাওয়ার উপক্রম হলে এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক বালির বস্তা ফেলে কোন রকম রক্ষা পায়। নদী শাসন করে এ তিনটি গ্রাম রক্ষার জন্য এলাকাবাসী ৫-৬ বছর ধরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোন ফল পায়নি।
মানববন্ধনে গলাচিপা প্রেসক্লাব সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গলাচিপা নদীর ভাঙনে আটখালী, হোগলবুনিয়া ও ডাকুয়া গ্রামের দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় অর্ধেক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় একশত পরিবার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। যদি নদী শাসন না করা হয় তাহলে অচিরেই বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলতাফ মাহমুদের কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’
আরও বক্তব্য রাখেন ডাকুয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ গাজী, ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম মিঠু ও শাহ আলম মৃধা প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন