রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থীরা মরিয়া

বিশ্বনাথ পৌর নির্বাচন

আব্দুস সালাম, বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম


বিশ্বনাথ পৌর নির্বাচন আসামিকাল ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিজয় নিশ্চিত করতে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের ঘরে ঘরে গভীর রাত পর্যন্ত ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচনের প্রথম থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙন করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অবহেলিত এ পৌরসভার উন্নয়ন যে করবে তার পক্ষেই রায় দেবে ভোটাররা। মেয়র পদে ত্রিমুখি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে একজন প্রার্থীর বির্তকিত ভ‚মিকা ও নানা কটুক্তির কারণে তিনি প্রতিদ্বন্দিতা থেকে পিছনে পড়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের অভিযোগ নির্বাচন এলেই তিনি প্রার্থী হন এবং পরাজিত হন।
এদিকে বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলেও উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন হেঙ্গার প্রর্তীক নিয়ে নৌকার প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। নৌকার প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ ইতোমধ্যে তার অবস্থান সুদৃঢ় করতে পেরেছেন। সাধারণ ভোটারদের বক্তব্য, গত ১০ বছর ধরে আ.লীগের দলীয় এমপি না থাকায় এ উপজেলাটি প্রায় উন্নয়ন বঞ্চিত। যে কারণে উন্নয়ন ও বিশ্বনাথের ঐতিহ্য রক্ষায় নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আ.লীগের নেতৃবৃন্দসহ কয়েক শতাধিক প্রবাসি ঘরে ঘরে গণসংযোগসহ দিবানিশি শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রচার-প্রচারনায় নৌকা প্রার্থী এগিয়ে রায়েছেন।
মেয়র পদে রয়েছেন, স্বতন্ত্র মুহিবুর রহমান, (জগ মার্কা), যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতা মুমিন খান মুন্না (মোবাইল মার্কা), আল-ইসলাহ সমর্থীত মো. ফয়জুল ইসলাম (চামুচ মার্কা), জমিয়ত প্রার্থী শিব্বির আহমদ (খেজুর গাছ) ও প্রবাসি নেতা শফিক উদ্দিন (নারিকেল গাছ)। ৭ প্রার্থীর মধ্যে নৌকা ও হেঙ্গার প্রর্তীক রয়েছেন আলোচনা।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জালার উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, তিনি ২ বারের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। এজন্য তিনি দলীয় পদ ত্যাগ করে সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
বিশ্বনাথ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ফয়ফুল হক বলেন, বিশ্বনাথ প্রথম পৌরসভা নির্বাচনে শেখ হাসিনা সৎচরিত্রবান, ত্যাগী ব্যক্তি ফারুক আহমদকে মনোনয়ন দেয়ায় জনগন সহজেই মেনে নিতে পেরেছেন। শুধু উন্নয়ন নয়, বিশ্বনাথের ঐতিহ্য রক্ষা এবং সুনাম বৃদ্ধিতে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য সব ভোটারের প্রতি বিনিত অনুরোধ জানিয়েছেন।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ভোট গ্রহনের জন্য বিভিন্ন স্থানে ইবিএম প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, নির্বাচন সুষ্টু ও নিরপেক্ষ হবে। পৌরসভায় কোন ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই।
আসামিকাল ২ নভেম্বর পৌর নির্বাচনে মোট ২০টি কেন্দ্রে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মেয়র পদে ৭ জন, কাউন্সিলার পদে ৬০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৫জন প্রার্থী রয়েছেন। বয়স্ক ভোটাররা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হওয়ার কারনে কেন্দ্রে যেতে অনিহা প্রকাশ করছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন