নিবন্ধিত দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে পুলিশ কোনো বাধা দেবে না। রাজনীতির নামে কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এসব কথা বলেন নতুন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

তিনি বলেন, থানা এলাকার মসজিদে নামাজ পড়ে ওসিরা বক্তব্য দেবেন যে তার থানায় সেবা নিতে কোনো টাকা লাগে না। এসব বলার পরে কারও যদি ন্যূনতম লজ্জা-শরম থাকে, তিনি থানায় সেবা দিতে টাকা নেবেন না।
মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মিছিল-মিটিং রাজনৈতিক দলের অধিকার। নিবন্ধিত দলের এ ধরনের কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা দেয়া হবে না। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও পোড়াও বা বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না। এগুলো ফৌজদারি অপরাধ। ধারা অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারা প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের আগে একটি বক্তব্য দেবেন। যাতে মানুষ অপরাধ করা থেকে বিরত থাকে।

তিনি বলেন, চাকরি জীবনের ৩২ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডিএমপির নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সচেষ্ট থাকবো। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার বলেন, পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনে রাজধানীবাসীকে যানজটমুক্ত নগরী উপহার দেব। সড়কে বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, সেই সঙ্গে অপরিকল্পিত নগরায়নও যানজটের জন্য দায়ী। ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধান করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো হবে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি থাকা অবস্থায় ইয়াবা ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলাম দাবি করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাদক আমাদের একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। মাদকসেবীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরে সরবরাহ লাইন বন্ধ করতে হবে। দেশের মাদকের চাহিদা না থাকলে এমনিতেই কমে যাবে। আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলবো এবং মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো বাড়ানো এবং সেখানে সেবার মান বাড়ানোর জন্য বলবো।

জঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গির আগের মতো মাথা চাড়া দিতে পারবে না। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের অনেক দেশ সফল হতে পারেনি, তবে আমরা সফল হয়েছি। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং সরকারের অন্যান্য সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তিনি বলেন, ৯৯৯ আছে, সেখানে ফোন করতে পারেন। সেখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক ফোন আসে। থানায় যদি না পান তাহলে ৯৯৯-এ ফোন করেন। বিকল্প ব্যবস্থা তো আছেই।